প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, ইউটিউব-টুইটারকে ভিডিও ব্লক করার নির্দেশ ভারত সরকারের
নতুন দিল্লি, ২২ জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
বিবিসির এই বিতর্কিত ডকুমেন্টারি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র।
ইউটিউব থেকে তো বটেই টুইটার থেকেও ওই ডকুমেন্টারি সম্পর্কিত যাবতীয় টুইট ডিলিট করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই তথ্যচিত্র ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে তথ্যচিত্রে পেশ করা ‘চরিত্রায়ণ’কে তিনি সমর্থন করেন না।
বিতর্কের ঝড় এসে পৌঁছয় ভারতের মাটিতেও।
এই তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বের ভিডিও যেমন ইউটিউবে আসে তেমনই তা নিয়ে প্রায় ৫০ টি টুইটও টুইটারে প্রকট হতে থাকে নেটিজেনদের মধ্যে।
সূত্রের দাবি, ইউটিউবকে ওই ভিডিও ব্লক করতে বলার পাশাপাশি কেন্দ্র টুইটারকেও টুইটগুলি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে।
দিল্লির তরফে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে মুখ খোলেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এটি একটি প্রচারধর্মী ভিডিও।
সূত্রের দাবি বিদেশমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এই ভিডিও খতিয়ে দেখেছে।তাঁরা মনে করছে, এই তথ্যচিত্র ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
দিল্লি এই তথ্য চিত্র নিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে এই তথ্যচিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, এই তথ্যচিত্র ভারতে ইউটিউবে নেই। তবে কিছু ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারধর্মী উদ্দেশে এই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২১ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বিশেষ ক্ষমতাবলে কেন্দ্রের তরফে এই ভিডিওকে ব্লক ও টুইটগুলিকে ব্লক করার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি ডকু সিরিজের প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছে।
কেন্দ্রের দাবি, ওই ডকু সিরিজটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারত সরকার বিরোধী অপপ্রচার রয়েছে।
শুরু থেকেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে এই সিরিজকে ঘিরে।
গত মঙ্গলবার সম্প্রচার হয় ধারাবাহিক এই সিরিজের প্রথম পর্ব। কিন্তু পরদিনই সেটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্ব ২৪ জানুয়ারি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। যার বিষয়বস্তু হল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর সময়কাল। বিবিসির ওই সিরিজে মোদীকে প্রবল মুসলিম বিরোধী হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক আগেই সিরিজটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছে।