মুম্বাই, ২৫ জানুয়ারি : বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাওয়াতের উপর থেকে ব্যান তুলে নিল টুইটার। ২০২১ সালের মে মাসে বাংলার বিধানসভা ভোট নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক টুইটের জেরে কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে মঙ্গলবার কঙ্গনার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিল এলন মাস্কের মালিকানাধীন এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট।
মঙ্গলবার কঙ্গনার অফিসিয়্যাল টুইটার হ্যান্ডেল, ‘টিম কঙ্গনা রানাওয়াত’-এর তরফে টুইট বার্তায় লেখা হয়, ‘সকলকে নমস্কার, এখানে ফিরে ভালো লাগছে’।
মুহূর্তেই ভাইরাল কঙ্গনার সেই টুইট। অনুরাগীরা উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রীর কামব্যাক নিয়ে। তবে এখনও টুইটারের তরফে ‘ব্লু টিক’ দেওয়া হয়নি কঙ্গনার এই অ্যাকাউন্টে।
তবে পুরোনো টুইট এবং ফলোয়ার সংখ্যা অটুট রয়েছে। টুইটারে কঙ্গনাকে অনুসরণ করেন প্রায় ৩০ লক্ষ ইউজার।
গত বছর টুইটারের মালিকানা বদলের পর কঙ্গনা সুর নরম করেছিলেন এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট নিয়ে। টুইটারকে ‘সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে ঘোষণাও করেছিলেন। আরও বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিগতভাবে, আদর্শগতভাবে অনুপ্রাণিত করে টুইটার’।
এমনকী সরাসরি কিছু না বললেও গত বছর অক্টোবরে এক নেটিজেনের পোস্ট নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে শেয়ার করেন কঙ্গনা রানাওয়াত। যেখানে ওই নেটিজেন লিখেছিলেন, ‘বাকস্বাধীনতা অত্যন্ত জরুরি। তার খাতিরে কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার হ্যান্ডেলকেও পুনর্জীবিত করা হোক।’ এলন মাস্ককে ওই পোস্টে ট্যাগও করেছিলেন কঙ্গনা। ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে মরিয়া বলিউডের কুইন।
কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলবার পর টুইটার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি কোনও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। এই অ্যাকাউন্টটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের হেটফুল কনডাক্ট (ঘৃণা ছড়ানো) পলিসি ও অ্যাবিউসিভ বিহেবিয়ার (খারাপ ব্যবহার) পলিসি না মানার জন্য।