খেলার খবর, ২৬ জানুয়ারি : নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে একতরফা ভারতের জয়ের পর এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিকেও নজর রয়েছে দলটির।
যদিও এই সিরিজে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও মহম্মদ সিরাজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। রোহিতের অনুপস্থিতিতে হার্দিক পান্ডিয়াকে আবারও দলের অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই তৃতীয়বার হার্দিক টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। এর আগে হার্দিকের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল ভারতীয় দল।
এমন পরিস্থিতিতে হার্দিক ও দলের তরুণ খেলোয়াড়দের চেষ্টা থাকবে এই সিরিজে একই ছন্দ বজায় রাখার।
কিউই দলের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি রাঁচিতে খেলা হবে। সবার চোখ থাকবে তরুণ ওপেনার পৃথ্বীশ এই ম্যাচের একাদশে সুযোগ পান কি না।
আহত ঋতুরাজ গায়কওয়াদকে সরিয়ে দিলে ভারতীয় দলে ১৫ জন খেলোয়াড় থাকবেন, এই ১৫ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য নিখুঁত একাদশ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সিরিজের মতো এই ম্যাচে ওপেনার হিসেবে দেখা যাবে শুধু শুভমান গিল ও ইশান কিষানকে। প্রথমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং তারপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট করেছেন গিল।
যদিও টি-টোয়েন্টিতে তার রেকর্ড তেমন ভালো নয়, তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কথা মাথায় রেখে তাকে একাদশে সুযোগ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, যদি ইশান কিষানের কথা বলা হয় তবে তিনি দলে উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন, যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভালো হয়নি ইশানের।
তবে পাওয়ারপ্লেতে তিনি যে নির্ভীকভাবে ব্যাট করেন তাতে তিনি ভারতীয় দলের জন্য তার ঘরের মাঠে খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারেন।
অন্যদিকে, মিডল অর্ডারের কথা বললে রাহুল ত্রিপাঠী আবারও সুযোগ পেতে পারেন-৩ নম্বরে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টিতে খুব আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন ত্রিপাঠি।
একইসঙ্গে সূর্যকুমার যাদবকে ৪ নম্বরে খেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূর্য, যিনি আইসিসি টি-২০ প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।
ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত এই ফর্ম্যাটে ৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন, যারমধ্যে তার ১৮০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে মোট ১৫৭৮ রান রয়েছে।
এর পর ব্যাটিংয়ে আসতে পারেন দীপক হুডা। হুডা এখনও পর্যন্ত ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৫৬ রান করেছেন, পাশাপাশি তিনি একজন দরকারী বোলার হিসেবেও প্রমাণিত হতে পারেন।
একইসঙ্গে এই দলে অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দেখা যাবে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে। হার্দিক যেমন দলের অধিনায়ক, তেমনি এই ফরম্যাটে তার রেকর্ডও বেশ ভালো।
তিনি ৮৪ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৩.৯৭ গড়ে ১২০৫ রান করেছেন। এছাড়াও, তার নামে মোট ৬৪ উইকেট রয়েছে।
বোলিং নিয়ে বললে, ফাস্ট বোলারের ভূমিকায় দেখা যাবে আরশদীপ সিং, ওমরান মালিক এবং শিবম মাভিকে। এই তিনজন খেলোয়াড়ই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন।
স্পিনার হিসেবে কুলদীপ যাদবও থাকতে পারেন দলের প্লেয়িং ইলেভেনে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন কুলদীপ। শুভমান গিল, ইশান কিষাণ, রাহুল ত্রিপাঠি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ড্য, দীপক হুডা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শিবম মাভি, আরশদীপ সিং, উমরান মালিক, কুলদীপ যাদব।