নয়া দিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার : ভারত জোড়ো কর্মসূচির আগে রাহুল গান্ধী আজ কন্যাকুমারীর শ্রীপেরুমবুদুরে রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল প্রার্থনাসভায় যোগ দেবেন।
একের পর এক ব্যর্থতা, ইস্তফার ধাক্কা ১৩৫ বছরের ডুবন্ত জাহাজকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টাতেই মরিয়া কংগ্রেস যুবরাজ রাহুল গান্ধি।
দলকে নতুন করে অক্সিজেন জোগাতেই আজ থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা। ৩৫৭০ কিলোমিটারের যাত্রার নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নিজে।
কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে কাশ্মীর পর্যন্ত এই পদযাত্রা ১৫০ দিন ধরে চলবে। বুধবার এই যাত্রার সূচনার আগে কন্যাকুমারীতে একটি মেগা সমাবেশ হবে কংগ্রেসের।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে এই পদযাত্রা, এমনটাই আশা কংগ্রেস নেতাদের।
মঙ্গলবারই কংগ্রেস নেতারা জানান, এই ভারত জোড়ো যাত্রা ভারতীয় রাজনীতিতে এক পরিবর্তনের মুহূর্ত তৈরি করবে এবং দলকেও পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক মেরুকরণ এবং রাজনৈতিক কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধেই দেশবাসীকে একজোট করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
কন্যাকুমারীর শ্রীপেরুমবুদুরে রাজীব গান্ধী মেমোরিয়ালে প্রার্থনাসভার পর যে জনসভা থেকে এই যাত্রা শুরু হবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল সহ একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এছাড়া তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ডিএমকে-র প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও।
জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান মঞ্চেই এমকে স্ট্যালিন রাহুল গান্ধীকে একটি খাদির তৈরি জাতীয় পতাকা উপহার দেবেন। সেই পতাকাই আবার রাহুল গান্ধী সেবা দলের কর্মীদের হাতে তুলে দেবেন।
সেখান থেকে তাঁরা হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্রতীরে যাবেন, যেখান থেকে এই পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হবে।
এই পদযাত্রায় দলের অন্তর্বতী সভাপতি সনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকতে না পারলেও, তিনি ভিডিয়ো বার্তায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিতে পারেন।
যাত্রায় যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতেই চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছন রাহুল গান্ধী। ১৫০ দিনের এই পদযাত্রায় পুরো সময়টাই তিনি নেতৃত্ব দেবেন।
রাত্রিযাপনের জন্য আনানো হয়েছে জাহাজের বিশেষ কন্টেনার, যেখানে কম্পার্টমেন্ট করে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।