গোয়ালপাড়া, ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার : মঙ্গলবার গোয়ালপাড়া জেলায় মুসলিমরাই ভেঙ্গে দিলেন মাদ্রাসা। আসামের মুসলিম সম্প্রদায়ও যে জিহাদি তৎপরতা চায় না সেটা এদিন একজোট হয়ে মাদ্রাসা ভেঙ্গে প্রমান প্রমান করে দিলেন।
গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার পাশের বাড়িঘরও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার গোয়ালপাড়া জেলার পাখিউড়া চরের দরগড় আলগা মাদ্রাসার কাছে এ ঘটনা ঘটে।
তারা শিক্ষার নামে জিহাদি চান না, এই মাদ্রাসাটি জিহাদিদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। তারা জিহাদিদের বাসস্থানও গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
যে ঘরগুলো আজ এলাকার জনতা গুড়িয়ে দিয়েছে সেগুলো থেকে জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল ইসলামিক মৌলবাদিরা।
তাদের মধ্যে জালালউদ্দিন শেখ নামের এক জেহাদিও বসবাস করত। বর্তমানে বঙ্গাইগাও পুলিশের হেফাজতে রয়েছে জালালউদ্দিন।
জালাল গোয়ালপাড়া জেলার পাখিউড়া চরের দরগায় একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত ছিল।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুধু জালালউদ্দিনই নয়, সেখানে জিহাদি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহভাজন দুই বাংলাদেশি আমিনুল হাসান ও জাহাংগির আলমও ছিল।
২০২০-২২ বর্ষের জন্য তাদেরকে নিযুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে দুই জেহাদি আমিনুল ও জাহাংগির পলাতক। পুলিশ তাদের সন্ধান করছে।
বেশিরভাগ জেহাদি বাংলাদেশ থেকে আসামে এসে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাকে জেহাদি কার্যকলাপের মূল ভিত্তি করে তুলে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৭ জন জিহাদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসাম পুলিশের ডিজিপি বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য গত ৪ সেপ্টেম্বর চারটি মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মাদ্রাসায় জেহাদি নিয়ে আলোচনায় চারটি প্রধান ইসলামী সংগঠন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ, আহলে আল-হাদিজ, আহলে সুন্নত জামাত এবং নাদুয়া তু তামির, দেশবিরোধী কার্যকলাপ নির্মূলে আসাম পুলিশের সহায়তায় এগিয়ে আসে। এই বৈঠকের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মঙ্গলবার গোয়ালপাড়ায় জেহাদি আস্তানায় পরিণত হওয়া একটি মসজিদ এবং পাশের ৫ টি ঘর গুড়িয়ে দেন।