চেন্নাই, ১১ সেপ্টেম্বর, রবিবার : দুজনই কানাডায় কর্মরত, ছয় বছর আগে একটি অ্যাপের মাধ্যমে দু’জনের দেখা হয়। এরপরেই দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।
অবশেষে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। সমকামী বিয়ে তাও আবার দু’জন দুই দেশের। অনেকেই মনে করতে পারেন এতে হয়ত পরিবারের সমর্থন মেলেনি।
কিন্তু এর ঠিক উল্টোটাই ঘটেছে, এই দুই যুবতির ক্ষেত্রে। আর দশটা বিয়ের মতোই সব রীতিনীতি মেনে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তাঁদের।
বিয়ে হয়েছে চেন্নাইতে। গত ৩১ অগস্ট ভারতের সুবিক্ষা সুব্রমানির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বাংলাদেশের টিনা দাস।
টিনা বাংলাদেশের একটি রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারে বড় ওঠা মেয়ে, এবং সুবিক্ষা সুব্রমানি তামিল ব্রাহ্মণ মহিলা।
তামিল ব্রাহ্মণ সুবিক্ষা সুব্রমানির বয়স ২৯ বছর, পেশায় একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং টিনার বয়স ৩৫, তিনি কানাডার ক্যালাগারিতে ফুটহিলস মেডিক্যাল সেন্টারে রোগীদের রক্ষণাবেক্ষণে প্রধান হিসেবে কাজ করেন।
তবে টিনা বিবাহিত। এর আগে তিনি এক ব্যাক্তিকে বিবাহ করেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে সেই বিয়েতে সমাপ্তি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
টিনার বাবা-মা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়ের কোন অসুখ রয়েছে ভেবে ১৯ বছর বয়সেই বিবাহ দেন। আশা করেছিলেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু এখন টিনা সমকামী হলেও নিজের উপযুক্ত জীবনসঙ্গিনীকে খুঁজে পেয়েছে বলে জানান। টিনা জানিয়েছেন, তিনি চিন্তায় ছিলেন যে, তাঁর রক্ষণশীল বাবা-মা প্রথাগত হিন্দু রীতিতে তাঁদের এই বিয়েতে সম্মতি দেবেন কি না।
কিন্তু প্রথাগত ব্রাহ্মণ মতে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে বিয়ে হওয়ায় তিনি খুবই খুশি। এদিকে সুবিক্ষাকে এক্ষেত্রে মা-বাবার থেকে তেমন কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি। আপাতত দুই দেশকে সাক্ষী রেখে সমকামী মহিলার মিলনের বিবাহে চার হাত এক হয়ে হয়েছে।