অনলাইন ডেক্স, ১১ সেপ্টেম্বর, রবিবার : আসামের পর উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসার ওপর নজরদারি বাড়াতে পারে যোগী সরকার। উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘুবিষয়ক দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দানেশ আজাদ আনসারীর বক্তব্য থেকে এই আবাস পাওয়া গেছে। আনসারী বলেছেন, সরকার মাদ্রাসাগুলোতে শিগগিরই সমীক্ষা চালাবে।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের নির্দেশ মেনে মাদ্রাসায় মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কি না এই সমীক্ষাতে দেখা হবে।
যে ভবনটিতে মাদ্রাসা চলছে, সেটি সরকারি না বেসরকারি, সেখানে কত জায়গা-জমি আছে এবং সেই অনুপাতে কত ছাত্র আছে, ভবনের অবস্থা কী রকম, পরিশ্রুত পানীয় জল, শৌচাগার, আসবাব এবং বিদ্যুৎ আছে কি না, সমীক্ষায় এসব খতিয়ে দেখা হবে।
উত্তর প্রদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টি সরকারি অনুদানে চলে। গত বেশ কয়েক বছরে যেসব নতুন মাদ্রাসা হয়েছে, সেগুলোকে এখনো অনুদান দেওয়া হয় না বলে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার এক কর্মকর্তা ‘বাংলাদেশের প্রথম আলোকে’ জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মাদ্রাসা বোর্ড এবং বিভিন্ন মুসলমান সংগঠন বিষয়টি নিয়ে চলতি সপ্তাহেই বৈঠক করেছে এবং এই সমীক্ষায় তাদের সম্মতিও আছে।
দেওবন্দের ওই মুখপাত্র আশা করে বলেছেন, মানুষের স্বার্থে এবং মাদ্রাসা পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।
মাদ্রাসায় জঙ্গি কার্যকলাপ চলে আসামে ধারাবাহিকভাবে এখনো প্রচার করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশের ওই সংবাদ মাধ্যম তাদের অনলাইন পেজে লিখেছে ভারতে মূলত হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার প্রচারমাধ্যম আসাম এবং উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসা নিয়েও এ ধরনের প্রচার করছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত মাদ্রাসায় জঙ্গি কার্যকলাপ ভিত্তিহীন বলে উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসা আধিকারিকদের উধৃতি দিয়ে লিখেছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিষয়টি শুধু আসামের কয়েকটি মাদ্রাসা উচ্ছেদ বা উত্তর প্রদেশে সমীক্ষা চালানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আশংখা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা–নেত্রীরা অন্যান্য রাজ্যেও মাদ্রাসা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করার কথাও তুলে ধরেছে।
কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শান্ডিল্য গিরিরাজ সিং-এর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দিন কয়েক আগে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মাদ্রাসায় সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়ে। বিহারেও এই একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে যারা মাদ্রাসা এবং মসজিদে আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করা যায়।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো তিনিও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মাদ্রাসা ও মসজিদে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছে। সংবাদ মাধ্যমটি আসামে মাদ্রাসা ভাঙা, উত্তর প্রদেশের সমীক্ষা এবং বিহারের সমীক্ষা নিয়ে আলোচনা থেকে আগামী নির্বাচনের আগে মাদ্রাসার পঠনপাঠন এবং জঙ্গিবাদের মতো বিষয় ভারতে ইস্যু হয়ে উঠে বলে আশঙ্কা করেছে।