কোকরাঝার, ১৫ সেপ্টেম্বর : কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর ২৩ সেপ্টেম্বর আসাম-ভুটান সীমান্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের হিমালয় রাজ্যের পরিচালক ‘আইন-শৃঙ্খলা’ তাশি পেঞ্জোরের নেতৃত্বে একটি ভুটানি প্রতিনিধিদল বুধবার কোকরাঝারে বোডোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল ‘বিটিসি’ কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আড়াই বছরের বিরতির পর গেটগুলো ২৩ সেপ্টেম্বর আবার খুলে দেওয়া হবে।
পেঞ্জোর বলেন, মহামারী পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ না হয় তবে ২৩ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য এবং অফিসিয়াল ট্রানজিটের জন্য ভূটান সীমানা পুনরায় খোলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে উভয় পক্ষের অনেক কর্মকর্তা পরিবর্তিত হয়েছেন তাই আমরা বন্ধুত্ব এবং ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি যা দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য অপরিহার্য।
তিনি ভারতীয় পর্যটকদের গেলফু এবং সামদ্রুপ ঝংখার গেট দিয়ে প্রবেশের পর ভুটানের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আগে ভুটানে শুধুমাত্র ফুয়েন্টশোলিং এবং পারোর মাধ্যমে প্রবেশের অনুমতি ইস্যু করা হত কিন্তু এখন পর্যটকদের জন্য আরও তিনটি অতিরিক্ত প্রবেশ গেট ভূটান যুক্ত করেছে বলে জানান পেঞ্জোর।
পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি পরিষেবা এবং অবকাঠামোর উন্নতির জন্য একটি পূর্ণ উন্নয়ন তহবিল ‘SDF’ চার্জ করা হবে বলেও তিনি জানান।
ভুটান সরকার দর্শনার্থীদের জন্য ইকো-ট্যুরিজম, পাখি দেখা এবং অন্যান্য প্যাকেজ পরিকল্পনা করেছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ‘SOP’ তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যে দর্শকরা রাত কাটাতে চান এবং নির্ধারিত পয়েন্টের বাইরে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য ১,২০০ টাকা চার্জ করা হবে।
কর্মকর্তা পর্যটকদের হিমালয়ের দেশটিতে যাওয়ার সময় তাদের ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি নিয়ে আসার জন্য আবেদন জানান। কোকরাঝাড়ের বিটিসি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিটিসি আধিকারিকদের পাশাপাশি কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা এবং উদালগুড়ি জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপাররাও উপস্থিত ছিলেন।