শিলচর, ১৬ সেপ্টেম্বর : বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির মাঝেই বাজারে ভিড়। শনিবার যে শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা পূজা। তবে অগ্নিমূল্যের বাজারে দরদাম করতে ছাড়ছেন না পুজো আয়োজকরা। যদিও ব্যক্তিগত পুজো আয়োজকরা নমো নমো করেই সেরে নিতে চাইছেন এবার।
অন্যদিকে সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ে জাঁকালোভাবেই পুজোর প্রস্তুতি নজরে পড়ছে শিলচর, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, বদরপুর ইত্যাদি শহরাঞ্চলে।
তবে বরাবরের মতোই সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে এবারও রীতি মেনেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে গোটা বরাক।
আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই পুজোর ঢাকে কাঠি। আগে পুজোর মরশুম শুরু হত বিশ্বকর্মার হাত ধরেই। তবে নতুন করে গণেশ পূজা এসে এই পুজোর রেশ আরও এগিয়ে নিয়ে এসেছে কিছুটা।
পুজোর আগের দিন শুক্রবার থেকেই তোড়জোড় যেমন বিভিন্ন মণ্ডপে তেমনি বাজারও চঞ্চল হয়ে উঠেছে যেন। ফলমূল থেকে পুজোর দশকর্মার বাজার সব কেনাকাটাই এদিন চলেছে দিনভর।
যদিও বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে গত বুধবার থেকেই বাজার আগুন। ফল থেকে শাকসবজি সব কিছুতেই যেন হাত ছোঁয়ানো দায়।
অগ্নিমূল্য সবই। আবার দাম বেশি প্রতিমারও। এক ফল বিক্রেতা জানান, পুজোর সময় এমনিতেই দাম একটু বাড়ে। এ বার কিছু ফলের আমদানিও কম হয়েছে। ফলে, দাম উর্ধ্বমুখী।
শিলচরের এক ফল ব্যবসায়ীর কথায়, “গত বছরের থেকে এ বার কিছু ফলের দাম বেড়েছে। পুজোর সময় ফলের চাহিদা থাকে। তাই দাম একটু বাড়েই।”
দাম বেশি থাকায় বাজার করতে এসে অনেকেই খরচ কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর মৃৎশিল্পীরা আনুষঙ্গিক সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমার দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে আবহাওয়ার কারণে এবারের পুজো কতটুকু আনন্দে কাটানো যাবে সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।