আগরতলা, ১৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার : ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের হাতে গুনা আর কয়েকটি মাস বাকি, এরমধ্যেই বহিরাজ্যে উত্তরপ্রদেশর নিবন্ধিত মোটরসাইকের ছড়াছড়ি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমকে।
সিপিআইএম সরাসরি রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনকে পত্র লিখে আগরতলায় উত্তরপ্রদেশর নিবন্ধিত মোটরসাইকেল গুলোর তদন্ত করে মালিকানা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে৷
রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ত্রিপুরায় উত্তরপ্রদেশের নিবন্ধ নম্বর বহনকারী এই মোটরবাইক গুলোর ক্রয় সম্পর্কেও ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য যে মোটরবাইক গুলো গত এক সপ্তাহ ধরে বেসামরিক সচিবালয়ের কাছে অবস্থিত সরকার পরিচালিত ভগত সিং ইয়ুথ হোস্টেলের প্রাঙ্গনে পার্ক করে রাখা হয়েছে।
কিন্তু রাজ্যের বিজেপি সরকার আজ পর্যন্ত জানাতে পারেনি এই মোটরসাইকেল গুলো কার নামে উত্তরপ্রদেশে নিবন্ধন করা হয়েছে, ত্রিপুরায় নিয়ে এসেছ এবং কেন এগুলোকে ত্রিপুরায় পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কি রকম চুক্তিতে মোটরসাইকেল গুলোকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এখানে স্থানান্তরিত হয়েছে, বিক্রয় সনদ, দান বা ভাড়া জানতে চেয়েছেন সিপিআইএম-এর ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনী প্রচারের নামে, বিজেপি তাদের কর্মীদের মধ্যে নগদ টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র বিতরণ করেছিল।
তিনি মনে করেন এই বাইকগুলোও বিরোধী দলের সমর্থকদের প্রলোভিত করার জন্য এবং সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে নির্মমভাবে অপব্যবহারের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরার নাগরিকরা ক্ষমতাসীন বিজেপির সাইকেলবাহী গুন্ডাদের সংঘটিত ভয়ানক আক্রমণ দেখেছেন, যারা বিরোধী দলের সমর্থকদের অসংখ্য বাড়ি-ঘর লুটপাট, ধ্বংস এবং অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। সিপিআইএম বেশ কয়েকটি অফিসেও হামলা হয়েছে। তিনি বিজেপি শাসন কালে অনুষ্ঠিত সমস্ত নির্বাচন উপহাসে পরিণত হয়ার অভিযোগ কর বলেন, বাইক বাহি সন্ত্রাসী এবং হামলাকারীদেরকে ব্যবহার করে ভোট লুট করা হয়েছে।