শিলচর, ১৮ আগস্ট, রবিবার : অবশেষে বাংলাদেশে কয়লা রফতানির পথ প্রসস্ত হল। সুতারকান্দির নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের ব্যাবসায়িদের মধ্যে এব্যাপারে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত। যদি সব ঠিক থাকে তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারতের কয়লা আবার যাবে বাংলাদেশে।
সুতারকান্দি দিয়ে বাংলাদেশে কয়লা রফতানি দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস থেকে বন্ধ থাকার পর কয়েকদিন থেকে গুয়াহাটিতে এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই আগামী কিছুদিনের মধ্যে ফের বাংলাদেশে কয়লা রফতানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সুতারকান্দি দিয়ে বাংলাদেশে সর্বশেষ কয়লা রফতানি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত, এরপ বিতর্ক এবং কিছু অনিয়ম দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে কয়লা রফতানি হয়নি।
ওই বছর মেঘালয় থেকে অবৈধভাবে কয়লা আসার খবর পেয়ে সুতারকান্দিতে অভিযান চালান করিমগঞ্জের তৎকালীন তখনকার পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার।
তার নির্দেশে বেশ কয়েকটি লরির চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল করিমগঞ্জ পুলিশ এবং পরে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
তার পর থেকেই বাংলাদেশে কয়লা রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশে রফতানি না হলেও মেঘালয় থেকে কয়লা করিমগঞ্জের বিভিন্ন ইটভাটায় যথারীতি আসে। এমন কি ত্রিপুরাতেও কয়লা রীতিমত যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশে দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে কয়লা রফতানি বন্ধ থাকায় ভারত সরকারকেও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে, যার প্রভাব স্থানীয় বাজারে লক্ষ্য করছেন স্থানীয় জনসাধারন।
বাংলাদেশে কয়লা রপ্তানির রাজ্য সরকারের উদ্যোগের পর করিমগঞ্জের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর নামে ডাম্পিং লাইসেন্সও ইস্যু করা হয়েছে।
কয়লা রফতানি সুতাকান্দির নো ম্যানস ল্যান্ডে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ যে আলোচনা হয়, এই আলোচনায় রফতানি আরো বৃদ্ধি করার বিষয়টি ওঠে আসে।
কয়লা রফতানি নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বার অফ কমার্স, সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সদস্যরা সহ বিজিবি-র আধিকারিকরা। এবং করিমগঞ্জের প্রতিনিধি দলের পক্ষে ছিলেন অমরেশ রায়, রুনু মিয়া, শিবাজী চৌধুরী, অজয় দেব, আবুল হাফিজ, সত্যরঞ্জন দে, পারুল চৌধুরী সহ বিএসএফ, ও কাস্টমস আধিকারিকরা।