শিলচর, ২১ সেপ্টেম্বর : ২০২২-এর প্রলয়ঙ্করী বন্যার ওপর রচিত ‘প্রলয়ের ইতিকথা, বন্যার সাত-সতেরো : শিলচর ২০২২’ নামের গ্রন্থ অবশেষে পাঠকের দরবারে পেশ হতে যাচ্ছে।
সাংবাদিক উত্তমকুমার সী-র বহু শ্রমসাধ্য গ্রন্থটি শিলচরের গান্ধী ভবনে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিক প্রকাশিত হবে।
প্রত্যেকেই অবগত যে, গত মে ও জুন মাসের উপর্যুপরি বীভৎস বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কোনও সাহায্য দিয়েই পূরণ করার নয়।
এই বিপর্যয়ের ভুক্তভোগী ও সাক্ষী বরাকের গ্রাম-শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সর্বস্ব হারিয়ে এমনকি পথে বসারও অবলম্বনহীন শহর শিলচর, শহরতলি ও উপকণ্ঠ এবং গোটা উপত্যকার অগণন বানভাসি।
বাইশের জলপ্রলয়ের করাল গ্রাস হতদরিদ্র প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে নাগরিক জীবনকেও রেয়াত করেনি।শিলচর শহর ও সংলগ্ন এলাকা বন্যার তাণ্ডবে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়। সেই বিপর্যয় থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি সাধারণ মানুষ।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেই পীড়িত-দুর্গত শহর এবং গ্রামের জনগণই আসলে এই গ্রন্থের নেপথ্য কারিগর। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসা তাঁদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, লেখা, ছবি ও নানা অনুসন্ধানের গ্রন্থিত রূপ ‘প্রলয়ের ইতিকথা’।
বাইশের প্রলয়কালকে কেন্দ্র করে মূলত বানভাসিদের পুরনো-নতুন জানা-অজানা বহু তথ্য, প্রতিবেদন, নাগরিকদের অভিমত এবং পীড়নের দিনলিপির সন্নিবিষ্ট এক দুঃখগাঁথা ও সঙ্কট থেকে উত্তরণের দিশা বর্ণিত হয়েছে এই গ্রন্থে।
লেখক উত্তমকুমার সী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বই প্রকাশের অঙ্গ হিসেবে অনুষ্ঠানস্থলেই থাকবে ‘বন্যার বিভীষিকা ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক একটি মনোজ্ঞ আলোচনাসভা।
এতে উপস্থিত সুনাগরিকরা নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে সুচিন্তিত মতামত উপস্থাপন করবেন। তুলে ধরা হবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অনুসন্ধানভিত্তিক বন্যা-পরবর্তী প্রতিবেদন। পাশাপশি, এই অনুষ্ঠানে এবারের বন্যায় সব হারানো কয়েকজন অসহায় ব্যক্তিকে তাঁদের জীবনযুদ্ধে নতুন করে লড়াইয়ে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে যৎসামান্য সাহায্য তুলে দেওয়া হবে।
তাই প্রত্যেকের কাছে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য বিনম্র আবেদন জানিয়েছেন গ্রন্থকার ও সাংবাদিক উত্তমকুমার সী। অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য কোনও প্রবেশপত্র লাগবে না। সবার জন্য প্রবেশ অবাধ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, বইটি প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক প্রকাশন সংস্থা এশিয়ান প্রেস বুকস