জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৮ ফেব্রুয়ারি : করিমগঞ্জ থেকে পাম তেল উৎপাদন করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গোদরেজ কোম্পানি।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোম্পানির এক মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানির প্রতিনিধিরা করিমগঞ্জ সফর করে গেছেন।
কৃষি বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। জনগণের মধ্যে সচেতনতা আনতে একটি ডিসপ্লে ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে।
করিমগঞ্জ জেলা কৃষি আধিকারিক পঙ্কজকুমার মজুমদার করিমগঞ্জে পাম ক্ষেত করে এর থেকে তেল উৎপাদন করার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন।
তবে বিষয়টি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেছেন।
জানা গেছে, রাজ্যে পাম ক্ষেত করার জন্য সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে গোদরেজ কোম্পানির সঙ্গে এক মৌ চুক্তি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পাম ক্ষেত করার জন্য রাজ্যের ১৮ টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে করিমগঞ্জ রয়েছে।
সম্প্রতি কৃষি বিভাগের ডিরেক্টর জেলা কৃষি আধিকারিককে এক চিঠি প্রেরণ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, বিভাগের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের নির্দেশ পেয়ে এ নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন জেলা কৃষি আধিকারিক পঙ্কজকুমার মজুমদার।
গত মঙ্গলবার করিমগঞ্জে এ ব্যাপারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাম ক্ষেতের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনিরুদ্ধ দত্ত এবং আশিষতরু পাল। তারা দুইজনই কৃষি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক।
এরমধ্যে আশিষতরু করিমগঞ্জের প্রাক্তন কৃষি আধিকারিক ছিলেন। পাম ক্ষেত করা হলে এর লাভজনক দিক অবগত করান অনিরুদ্ধ দত্ত এবং আশিষতরু পাল।
একটি সূত্রে জানা গেছে, পাম ক্ষেত করার জন্য জায়গা চূড়ান্ত না হলেও রামকৃষ্ণনগর নতুবা পাথারকান্দিতে করা হবে।
জানা গেছে, প্রথমে নার্সারি করা হবে। এর জন্য লোক নিয়োগ করবে কোম্পানি। তারপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
গাছে উৎপাদিত পাম কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করবে গোদরেজ কোম্পানি। তারপর স্থাপন হওয়া ইন্ডাস্ট্রিতে পাম থেকে তেল বের করা হবে।
পরে সেটা বাজারজাত করা হবে। কয়েকদিন আগে ডিসপ্লে ভ্যান করিমগঞ্জ আসার পর এর ফ্ল্যাগ অফ করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
ওই ডিসপ্লে ভ্যানে পাম ক্ষেত করার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং এর প্রয়োজনীয়তা দেখানো হচ্ছে।
এছাড়া কৃষি বিভাগের বিভিন্ন নির্দেশাবলী শোভা পাচ্ছে।
জেলা কৃষি আধিকারিক পঙ্কজকুমার মজুমদার শুক্রবার বলেছেন, কৃষকদের এ ব্যাপারে আগ্রহ থাকতে হবে।
যারা আগ্রহ দেখাবেন তাদেরকে পাম চারা দেওয়া হবে। গাছে ফল উৎপাদন হতে কমেও চার বছর লেগে যায়। এরপর কৃষকদের কাছ থেকে সেটা ক্রয় করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে তেল উৎপাদন করা হবে।