আইজলে চাকমা হাউসের সামনে ছাত্র সংগঠন মিজো জিরলাই পাওল-এর পিকেটিং, সতর্কতা!!
আইজল, ৬ মার্চ : আসাম সীমান্তের মিজোরামের কোলাসিব জেলার বুয়ারচেপ এলাকায় দুই সহকর্মীকে গুলি করে করল এক সশস্ত্র পুলিশ কর্মী।
মিজোরাম সশস্ত্র পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত তিন হাবিলদার একটি ক্যাম্পে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছিল।
কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ : ১৫টার আচমকা এই ঘটনাটি ঘটে জানিয়েছেন মিজোরামের পুলিশ মহাপরিদর্শক লালবিকথাঙ্গা খিয়াংতে।
তাদের ডিউটি ক্যাম্পটি কোলাসিব জেলার ভাইরেংটি গ্রাম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে তেল পাম বাগান এলাকায় অবস্থিত।
খুনি মিজো পুলিশ কর্মী বিমল কান্তি চাকমা তার সার্ভিস রাইফেল AK-47 থেকে সহকর্মীদেরকে লক্ষ্য করে একাধিকবার গুলি ছুড়ে।
হতাহতদের নাম জে লালরোহলুয়া এবং ইন্দ্র কুমার রাই।
লালরোহলুয়ার ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং রাইকে ভাইরেংটিতে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
লালরোহলুয়াকে রান্নাঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে পড়া রক্তের বিশাল পুকুরে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং অভিযুক্ত তার সার্ভিস রাইফেল নিয়ে তার বিছানায় বসে থাকতে দেখা যায়।
মিজোরামের পুলিশ মহাপরিদর্শক লালবিকথাঙ্গা খিয়াংতে বলেন, গুলির শব্দ শোনে বর্ডার ফাঁড়ির প্রধান কমান্ডার স্টাফদের নিয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
তারা রাইকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০-৪০ ফুট দূরে অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘাতক মিজো পুলিশের কাছ থেকে একটি AK-47 রাইফেল এবং ১৩টি লাইভ রাউন্ড সমন্বিত একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়েছে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার রাতেই চাকমাকে গ্রেপ্তার করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার বেলা দেড়টার দিকে তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় এবং এখান থেকে কলসিব জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ভাইরেংটি থানায় আইপিসি ধারা 302 এর অধীনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেছেন খিয়াংতে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসারের মতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ঘাতক একজন অভ্যাসগত মদ্যপানকারী, সহকর্মীরা পোস্ট কমান্ডারের কাছে তার আচরণের কথা বারবার জানিয়েছিল।
চাকমা পুলিশকে বলেছেন, তার সহকর্মীরা প্রায়শই তার মাতাল হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট করত এবং ঘটনার আগে দুজনকেই সে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন পোস্ট কমান্ডারের কাছে তার সম্পর্কে রিপোর্ট করত।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে উস্কানি ছাড়াই তার সহকর্মীদের দিকে গুলি করেছিল জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক খিয়াংতে।
শেষ নিঃশ্বাসের আগে রাই জানিয়েছেন কোনো যুক্তি ছাড়াই ঘাতক গুলি করেছে।
এই ঘটনায় রাজ্যের শীর্ষ ছাত্র সংগঠন মিজো জিরলাই পাওল-এর মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সোমবার সকালে আইজলে চাকমা হাউসের সামনে পিকেটিং করে সংগঠনের কর্মীরা।
যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে চামকা জনগণকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।