আগরতলা, ৮ মার্চ : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আজ (বুধবার) দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ডাঃ মানিক সাহা। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরও আটজন মন্ত্রী।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এছাড়াও ঐতিহাসিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং, অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডু, সিকিমের প্রেম সিং তামাং এবং অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এই মেগা ইভেন্ট।
রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য বিজেপি-আইপিএফটি সরকার-এর নতুন মন্ত্রী পরিষদকে শপথবাক্য পাঠ করান।
সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন, টিপরা মোথা নেতারাও অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান।
ত্রিপুরার নতুন মন্ত্রীসভায় আজ যারা শপথ নিয়েছেন তারা হলেন, ডঃ মানিক সাহা (মুখ্যমন্ত্রী), রতনলাল নাথ, প্রাণজিৎ সিংহ রায়, সান্তনা চাকমা, সুশান্ত চৌধুরী, টিঙ্কু রায়, বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস এবং শুক্লা চরণ নোয়াটিয়া (আইপিএফটি)।
মুখ্যমন্ত্রী দু-একদিনের মধ্যে পোর্টফোলিওগুলি বণ্টন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে মঙ্গলবারই আগরতলা পৌঁছেন অমিত শাহ ও নাড্ডা। মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মানিক সাহা।
এর আগে, সোমবার নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের একটি সাধারণ সভায় মানিক সাহার নাম সর্বসম্মতভাবে বিধানসভা দলের নেতা হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বৈঠকের পর সাহা টুইট করেছিলেন, আমাকে আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত করার জন্য আমি সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নির্দেশনায়, আমরা উন্নত ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করতে এবং সকল শ্রেণীর মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করব।
তিনি এদিন রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যের সাথে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গতবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি আসাম রাইফেলস গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এবার এটি স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের মতে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ৩২টি আসন জিতেছে।
টিপরা মোথা পার্টি ১৩টি আসন জিতে দ্বিতীয় হয়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) ১১টি আসন পেয়েছে এবং কংগ্রেস পেয়েছে তিনটি। ইনডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) একটি আসন জিতে তার খাতা খুলতে সক্ষম হয়েছে।