আগরতলা, ১১ মার্চ : ভোট পরবর্তী সহিংস আক্রমণ বন্ধ হতে চাইছে না ত্রিপুরায়।
১০ মার্চ সেপাহিজলা জেলার নেহাল চন্দ্র নগর এলাকায় কংগ্রেস এবং সিপিআইএম নেতাদের উপর আক্রমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপি সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েন কংগ্রেস এবং সিপিআইএম নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল, ভাঙচুর করা হয় তাদের গাড়ি।
কংগ্রেস এবং সিপিআইএম-এর আটজন সাংসদ বিজেপির সহিংসতায় আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে ১০ মার্চ রাজ্যে আসেন।
হামলার সময় সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় এবং সিপিআইএম সাংসদ এলামারাম করিমও উপস্থিত ছিলেন।
হামলা চালানো হয় যখন বিধায়ক ও পিসিসি প্রধান বিরজিত সিনহা, এমপি আব্দুল খালিক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এবং ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডক্টর অজয় কুমার স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে সেখানে যান।
নেতাকর্মীরা অক্ষত অবস্থায় ফিরে গেলেও দুর্বৃত্তরা পাথর ছুড়ে দুটি গাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পিসিসি প্রধান বিরজিত সিনহা অভিযোগ করেছেন যে ২৫ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মী হঠাৎ তাদের সামনে এসে বাজারে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
৯ মার্চ এনসি নগরের বাজারের প্রায় ১৯টি দোকান বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল৷
কিন্তু প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর বিজেপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদেরকে অভিযোগ করতে শুরু করে যে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম কর্মীরা দোকান ঘরগুলো জালিয়ে দিয়েছে৷
কিন্তু কংগ্রেস নেতা সিনহা দাবী করেছেন, দোকানিরা বলেছে তাদের দোকানগুলো বিজেপি করমি-সমর্থকরা জ্বালিয়ে দিয়েছে।
সিনহা আরও বলেছেন যে হঠাৎ বিজেপি কর্মীরা ত্রিপুরা রাজ্য রাইফেলস (টিএসআর) কর্মীদের মধ্যে তাদের গাড়িতে পাথর ছুড়তে শুরু করে।
কিন্তু আমরা যখন টিএসআরকে কিছু পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম, তারা উত্তর দিয়েছিল যে তাদের কাছে কোনো অনুমতি নেই।
সিনহা বলেছে, আমরা এই বিষয়ে এবং টিএসআর-এর পদক্ষেপের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া চেয়ে বিষয়টি সিপাহিজলা জেলার এসপিকে জানাব বলেছেন তিনি।
ঘটনাটি তীব্র সমালোচনা করেছে, অনেকে সহিংসতার নিন্দা করেছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিজেপি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই ত্রিপুরা সহিংসতার মধ্যে রয়েছে, প্রায়ই বিজেপির সমর্থক ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, কংগ্রেস ও সিপিআইএম নেতারা ত্রিপুরায় এসেছিলেন পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে এবং বাস্তবতা পর্যালোচনা করতে। ত্রিপুরার রাজনৈতিক এই উত্তেজনা মুখাবিলা করে রাজ্য সরকার কিভাবে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তা দেখার বিষয়।