ত্রিপুরায় প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন-প্রতিশ্রুতি
গণআওয়াজ, কাঞ্চনপুর : জল জীবন মিশন প্রকল্প বাস্তাবায়নে ত্রিপুরার মানিক সাহার সরকারের ব্যর্থতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন এবং প্রতিশ্রুতিকে চুরমার করে দিয়েছে।
ঊনকোটি জেলার পাবিয়াছড়া বিধানসভার এডিসি ভিলেজের আদাম গ্রামে হর ঘর জল পৌঁছে দিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জল জীবন মিশন প্রকল্পে আট কোটি ৪৭ লক্ষ্য ৬৭ হাজার ১১৪ টাকা বরাদ্ধ হয়।
কিন্তু, সরকারের ব্যর্থতা, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এবং বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের দুর্নীতির জন্য আজও এই প্রকল্প বাস্তব রূপ নেয়নি বলে অভিযোগ আদাম গ্রামের জনগনের।
জানা গেছে, কাঞ্চনপুর ডিডব্লিউএস-এর কার্যবাহী অভিযন্তা অনিমেশ দাস, সহকারী অভিযন্তা রাজীব চাকমা এবং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সন্তোষ কলইয়ের প্রচেষ্টায় কাজের বরাত দেওয়া হয় কাঞ্চনপুর মহকুমার বিকাশ দাস, নৃপেন্দ্র নাথ এবং সিদার্থ দে-কে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদেরকে অন্ধকারে রেখে গোপনে বরাতপ্রাপ্ত গুনধর ঠিকাদাররা তড়িঘড়ি করে শুরু করেছিলেন।

জনগণ কাজের গতিবিধি দেখে আশা করছিলেন গোপনে কাজ শুরু করলেও অতিদ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন হবে এবং ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে।
কিন্ত নির্মান কাজ শুরু হওয়ার দুই বছরে মাথায় পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া দূরের কথা প্রকল্পের কাজই সমাপ্ত হয়নি।
এনিয়ে এলাকার জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তাদের অভিযোগ, সরকার, বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা মিলে পুরো অর্থ আত্মসাৎ করে কাজ বন্ধ করে গোপনে বসে বসে মিনারেল ওয়াটার পান করছেন।
আর এদিকে গ্রামবাসীরা তাদের জলের চাহিদা মেটাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে নালা-পুকুরের অপ্রিশ্রুত জল পান করছেন।
অন্যদিকে, পরিতক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অর্ধ নির্মিত এই প্রকল্প রাতের অন্ধকারে নেশা পায়ীরা বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে ব্যবহার করে চলেছে।
এছাড়া, তাদের এই তান্ডবে ভেঙ্গে চূরমার হচ্ছে নির্মনকৃত ঘরের গ্লাস সহ মূল্যবান বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং বিভিন্ন ধরনের আসভাব সামগ্রী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অবিলম্বে যদি এব্যাপারে সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, আর এভাবে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকে, তাহলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই অনতি বিলম্বে বরাত প্রাপ্ত ঠিকেদারদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ সহ নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে পরিশ্রুত পানীয় পৌঁছে দেওয়ার দাবী জানান তারা।