সাসপেন্ড ৩ বিধায়ক বিরোধী বিধায়ক!
গুয়াহাটি, ২৯ মার্চ : লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সাংসদ হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা নিয়ে আসাম বিধানসভায় বুধবার হট্টগোল মধ্যে ৩ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হল।
২৯ মার্চ আসাম বিধানসভার বিরোধীরা লোকসভা থেকে রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি স্থগিত প্রস্তাব পেশ করেন।
এ নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি বিরোধী দলের তিনজন বিধায়ককে এ দিনের জন্য বরখাস্ত করেন।
আসাম বিধানসভা থেকে যে তিনজন বিধায়ককে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি বরখাস্ত করেছেন, তারা হলেন- রাইজর দলের বিধায়ক অখিল গগৈ এবং কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ও জাকির হুসেন সিকদার।
কংগ্রেসের বিধায়নি দলের নেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাহুল গান্ধীকে সংসদে অযোগ্য ঘোষণা করায় ভারতের সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমরা সংবিধান বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি রেজোলিউশন পাঠাতে চাই।
প্রস্তাবের জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এটা নজিরবিহীন উল্লেখ করে বলেন, আমরা এখানে একটি বিচারকি বিষয়ে মতামত প্রকাশ করছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানি, গতকাল রাতে কংগ্রেস বিধায়ক দলে বিধানসভায় গোলমাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আসামের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে কংগ্রেস দলের এবং অন্যান্য দলের বিধায়করা কূপে সরে গিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেন।
বিজেপি বিধায়করাও ছুটে আসেন এবং রাহুল গান্ধীর নিন্দা করে স্লোগান দেন।
এরজন্য ১৫ মিনিট বিধানসভা মুলতুবি রাখেন অধ্যক্ষ। পরে বিধানসভা পুনরায় শুরু হলে মুখ্যমন্ত্রী রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতার বিষয়ে বিরোধীদের উত্থাপিত প্রস্তাবের জবাব দিতে চান।
কিন্তু বিরোধী বিধায়করা বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে বলে আপত্তি তুলেন এবং অখিল গগৈ কূপের কাছে গিয়ে প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে প্রতিবাদ করেন। এরপর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি বিধায়ক অখিল গগৈ, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং জাকির হুসেন সিকদারকে বরখাস্ত করেন।