শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণ নগর, ১ এপ্রিল : রামদূত সংঘের উদ্যোগে রামের বিশাল মূর্তি নিয়ে আনিপুর থেকে রামকৃষ্ণনগর পর্যন্ত রামনবমী উপলক্ষে শুক্রবার রাতে শুভাযাত্রা বের হয়।
প্রায় পাঁচ শতাধিক রাম ভক্তর এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
আনিপুর শনিমন্দির থেকে বাজার পরিক্রমা করে রামকৃষ্ণ নগরে এসে পৌঁছায় এই বিশাল শোভাযাত্রা।
এরপর পুরো রামকৃষ্ণ নগর পরিক্রমা করে আবারও আনিপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় শোভাযাত্রা।
জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে আকাশ বাতাস কাপিয়ে তুলেন রাম ভক্তরা।
মোটরবাইক, গাড়ির বহরের মধ্যে হাতে রামনবমীর পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রায় উপস্থিত রাম ভক্তরা স্লোগান তুলেন।
এদিনের এই শোভাযাত্রার জন্য গোটা রাস্তা ও মোড়ে মোড়ে পুলিশ-সিআরপিএফ বাহিনীর তরফে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
সংবাদ মাধ্যমের সম্মুখে এসে আয়োজনরা জানান, মহা রামনবমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আনিপুর শনিমন্দিরের পাশে ভগবান রামের পুজোর আয়োজন করা হয়।
এখানে কোনো দল তথা সংগঠন ছাড়াই আয়োজন করা হয় এই রামপুজোর। এলাকার সকল স্তরের লোকেরদেকে নিয়ে রাম দূত সংঘ গঠন করে তারা রাম পুজোয় ব্রতী হয়েছেন।
বলেন অনেকই রামনবমী বলতে দুর্গাপুজোর কথা মনে নেয়, কিন্তু রামনবমী হচ্ছে অন্য এক কথা।
এই নবমীতে ভগবান রাম জন্ম নিয়েছিলেন যার জন্য রামজন্মজয়ন্তীও বলা হয়ে থাকে। রাম হচ্ছেন মর্যাদা পুরুষোত্তম।
আজকের প্রজন্মরা ভগবান রামেকেই অবলম্বন করে চলে আসছে। তিনিই হলেন ধর্মের প্রতীক। সমগ্র ভারতবাসী রাম নাম নিয়েই আনন্দিত হন।
তাই আমরাও ভগবান রামের জন্ম তিথিতে উনার পূজার্চনা করেছি। আর আজ সবাই মিলে এই বিশাল শোভাযাত্রা বের করেছি। এদিকে, শান্তিপূর্ণ ভাবে রামপুজোর পাশাপশি শোভাযাত্রা সম্পন্ন হওয়ায় রামদূত সংঘ গোটা এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।