দক্ষিণ করিমগঞ্জ, বারইগ্রাম, ২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার : দক্ষিণ করিমগঞ্জের এমন এক আজব জিপি রয়েছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাসের জিওটেক করাতে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয় দক্ষিণ করিমগঞ্জের মইনা জিপির সভাপতিকে।
জিপির সভাপতি সামিম ও তার পিতা আব্দুল হামিদ তাফাদার-এর বিরুদ্ধে এভাবেই অভিযোগ করলেন মইনা জিপির ৫নং ওয়ার্ডের বিজেপি দলের সদস্য ইয়াকুব আলী।
বৃহস্পতিবার হিতাদীকারিদের সঙ্গে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ইয়াকুব বলেন, এই ওয়ার্ডে বিজেপির সদস্য থাকা সত্ত্বেও জিপি সভাপতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামে হরির লোট চালাচ্ছেন।
রাজ্যের বিজেপি সরকার ঘুষ বানিজ্যে লাগাম টানতে একের পর এক ঘুষকোরকে পাকড়াও করে চলেছে, অথচ মইনা জিপির সভাপতি জিওটেকের জন্য পাঁচ হাজার এবং ঘর পাইয়ে দেবার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে আদায় করে চলেন।
৫ হাজার টাকা ঘুষ না দিলে সভাপতি আবদুল হামিদ ও জিআরএস ফখরুল ইসলাম আসছেন না তাই জিওটেকও হচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের গরীব জনসাধারঙ্কে তাদের ছাগল, হাস, মুরগি বিক্রি করে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় হিতাধিকারিরা মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেন জিপির দরিদ্র জনসাধারন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইয়াকুব আলী, আব্দুল সত্তার, সাব উদ্দিন সহ অন্যান্যরা।