নিম্নমানের কাজ, বছর ঘুরার আগেই ভেঙ্গে মরণফাঁদে পরিণত!
শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর ৩ এপ্রিল : রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ছুটোভুবি-বড়ভুবি সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন এলাকার জনগণ।
গত বছর সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদার, কিন্তু বছরের মাথায় ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে সড়কের ব্লকগুলো।
বিশেষ করে রংপুর থেকে বড় ভুবি যেতে পাহাড়ের মধ্যে থাকা সড়কের ব্লক গুলো উল্টে যাচ্ছে দিন দিন। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
সাংবাদিকদের ডেকে স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছেন, সরকার রাস্তার কাজের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাপের অর্থ বরাদ্দ করে।
কিন্তু ঠিকাদার তার পকেট ফোলানোর উদ্দেশ্য কাজে যে নয় ছয় করে গিয়েছে সেটা এবার প্রকাশ্যে এসেছে।
অনেক সময় এই ভাঙা রাস্তায় যাত্রীবাহী যানবহন সহ ব্যাক্তিগত যানবাহনও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
কিন্তু রাতের বেলাতেই সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কেননা রাতের বেলা এই উল্টে যাওয়া ব্লক গুলো দূর থেকে দেখতে পাওয়া যায় না।
এদিকে ভেঙে পড়া ব্লক গুলো একেবারে গির্জার সম্মুখে রয়েছে, প্রতিদিনই কচিকাঁচারা গির্জা থেকে এই সড়ক হয়েই আসা যাওয়া করে।
এতে আশঙ্কায় থাকতে হয় অভিভাবকদের বলেও জানিয়েছেন তারা।
বর্ষার মরুশুমে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব ঝুকি হবে বলেও জানিয়েছেন নিপুইকুম রাংকোল, বছনেই রাংকোল, চংগি রাংকোল আন্দ্রেয় চরই ও স্থানীয় বেশ কিছু জনগণ।
উল্লেখ্য যে, ছুটো ভুবি বড়ো ভুবি এই অঞ্চলে বেশিরভাই ট্রাইবাল সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে থাকেন।
আগে কখনো এদের উন্নয়নের দিকে কেউই তেমন ভাবে তাকায় নি, কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এদের দিকেও নজর দিয়েছে।
সরকার ট্রাইবাল জনগোষ্ঠীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি এসব এলাকার সড়কগুলোও নির্মাণ করতে সরকার কাজ করছে।
কিন্তু সরকার অর্থ মঞ্জুর করলেও ঠিকাদার কাজে নয় ছয় করে পালিয়ে যায়।
আসাম-মিজোরাম সীমান্তবর্তী আসামের বড়োভুবির অনতিদুরে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি।
যেকোনো সমস্যা হলে যেতে হয় সেখানে, কিন্তু যোগাযোগের অব্যবস্থার কারনে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই বৃষ্টির মরুশমের আগেই সড়ক মেরামত করে দিতে স্থানীয় বিধায়ক, জেলা প্রশাসন সহ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান এলাকার জনসাধারণ।