নয়াদিল্লী, ১৮ এপ্রিল : উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফের হত্যার স্বাধীন তদন্তের দাবির শুনানি ২৪ এপ্রিল করতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
শনিবার রাতে পুলিশ কর্মীরা যখন প্রয়াগরাজের একটি মেডিকেল কলেজে চেকআপে নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় মিডিয়া কথপকথোনে সাংবাদিক পরিচয়ে তিনজন গুলি করে হত্যা করেছিল।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ উকিল বিশাল তিওয়ারির দাখিল আবেদন নোট করেছে, তিনি জরুরি শুনানির জন্য বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
আবেদনটিতে ২০১৭ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে সংঘটিত ১৮৩টি এনকাউন্টারের তদন্তেরও দাবি করেছে।
আতিক এবং তার ভাইকে শুটিংয়ের কয়েক ঘন্টা আগে তার ছেলে আসাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যাকে এক সহযোগীর সাথে ১৩ এপ্রিল ঝাঁসিতে পুলিশ এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ করা হয়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ শুক্রবার বলেছে যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারের ছয় বছরে এনকাউন্টারে ১৮৩ জন অভিযুক্ত অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
এতে আসাদ এবং তার সহযোগীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আবেদনে আতিক ও আশরাফ হত্যার তদন্তে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।
আতিক হত্যার কথা উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের এই ধরনের কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি, এটি পুলিশ রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করে।
একটি গণতান্ত্রিক সমাজে, পুলিশকে চূড়ান্ত বিচার প্রদানের উপায় বা শাস্তি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হতে দেওয়া যায় না।
শাস্তির ক্ষমতা শুধুমাত্র বিচার বিভাগের উপর ন্যস্ত আবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা বা ভুয়া পুলিশ এনকাউন্টারের আইনে কোনো স্থান নেই।
পুলিশ যখন দুঃসাহসী হয়ে যায় তখন আইনের শাসন ভেঙে পড়ে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের মনে ভয় তৈরি করে যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে অপরাধ আরও বাড়ে।