মহারাষ্ট্র রাজনীতি
মুম্বাই, ২৫ এপ্রিল : মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে উদ্ধব ঠাকরেকে অত্যন্ত চরম মূল্য দিতে হচ্ছে।
এখন তারা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে।
সূত্রের খবর অনুসারে এনসিপি এবং কংগ্রেসকে একসাথে নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন উদ্ধব ঠাকরেকে।
সম্প্রতি এনসিপি প্রধান ও অজিত পাওয়ারের বক্তব্যে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভিন্ন মনোভাব দেখা গেছে।
শরদ পাওয়ার বলেছেন যে তার সাথে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তবে এটি কেবল একটি সার্ফেট, একই সঙ্গে অজিত পাওয়ারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা এখনও অটুট রয়েছে।
ইস্যুটি হল শিবসেনার ১৬ বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ ইস্যু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, যেকোনো সময় এ বিষয়ে রায় দিতে পারে কোর্ট।
যদি সিদ্ধান্ত উদ্ধবের পক্ষে আসে তবে এই বিধায়কদের সদস্যপদ বাতিল হতে বাধ্য। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ও একনাথ শিন্ডের দলের সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি হবে।
বিধায়কদের সদস্যপদ বাতিলের পর বিজেপি-শিন্ডে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে যাবে।
রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে উদ্ধব ঠাকরে সময়ের আগে নির্বাচন করার বিষয়ে উচ্চস্বরে কথা বলছেন।
পরিস্থিতি যে বিজেপির অজানা নয় তা নয়, বিজেপিও তাদের রাজনৈতিক ঘোড়া ছেড়ে দিয়েছে।
এমতাবস্থায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন মহাবিকাশ আঘাদি কি আগের মতোই একসঙ্গে চলবে? উদ্ধবের দল, শরদ পাওয়ারের দল এবং কংগ্রেস একসঙ্গে নির্বাচনে লড়বে নাকি?
এই সব দেখে শরদ পাওয়ারের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি নিশ্চিতভাবে মহাবিকাশ আঘাদির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদের ইচ্ছা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি অজিত পাওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী করতেও প্রস্তুত। তাদের লক্ষ্য শুধু বিজেপি-শিন্ডে দলকে হারানো।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতেও আলোচনা চলছে যে এনসিপি নেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতা অজিত পাওয়ার সহ ৪০ জন বিধায়ক বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শিগগিরই তিনি বিজেপিতে যাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
অবশ্য অজিত পাওয়ার নিজেই স্পষ্ট করেছেন যে এই সমস্ত গুজব মিডিয়ার সামনে আসছে। তবে এটাও একটা বাস্তবতা যে, তার বিদ্রোহের আলোচনা এখনও বন্ধ হয়নি।
পাশাপাশি অজিত পাওয়ার বিবৃতি দিয়েছেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।
এই সমস্ত আলোচনার মধ্যে সূত্রের বরাত দিয়ে তথ্য সামনে এসেছে যে উদ্ধব ঠাকরে মহা বিকাশ আঘাদির অস্তিত্ব বাঁচাতে এবং অজিত পাওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন।