ইম্ফল, ১০ মে : রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বুধবার মণিপুরের ১১টি জেলায় কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে সেনা ও আসাম রাইফেলস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পতাকা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
মণিপুর কয়েকদিন ধরে মেইতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতার কবলে ছিল। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছে এবং ৩০,০০০ গৃহহীন হয়েছে।
তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী সাপম রঞ্জন সিং জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী তাদের জেলার বাইরে নিরাপত্তার জন্য প্রায় ২৬,০০০ জনকে সরিয়ে নিয়েছে এবং প্রায় ৪,০০০ জনকে তাদের বাড়ির কাছাকাছি শিবিরে রাখা হয়েছে।
বুধবার আধিকারিকরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, চুরাচাঁদপুর এবং জিরিবাম সহ ১১টি জেলায় সকাল ৫টা থেকে ছয় ঘন্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল।
সিআরপিএফ, দাঙ্গা-নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ আরএএফ এবং বিএসএফ এর কয়েক হাজার জওয়ান সিএপিএফ বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলস কর্মী মনিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতিগত সহিংসতার সময় মণিপুরে নিরাপত্তা কর্মী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া গেছে।
দ্য ফ্রি ইম্ফল প্রেস বুধবার জানিয়েছে যে ইম্ফল পূর্বের পুখাও শান্তিপুরের কাছে কুকি জঙ্গিদের সাথে গুলির লড়াইয়ে আসাম রাইফেলসের দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলসের ১২৮ কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পতাকা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আসাম রাইফেলসের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে পুনরদ্ধারে বিশেষ করে বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পটভূমিতে মণিপুরে অসংখ্য সম্পদ সংযোজন করেছে।
স্বাভাবিকতা এখন প্রকাশ দেখাতে শুরু করেছে এবং লোকেরা তাদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু অন্তঃপুরেই নয়, ভারত-মায়ানমার সীমান্তেও নজরদারি চালাতে কোনো কসরত ছাড়ছে না।
নির্দিষ্ট টাস্কিং সহ মনুষ্যবিহীন আকাশযানের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি, ভারতীয় বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীর এমআই ১৭, চিতা হেলিকপ্টার এবং পায়ে টহল দিয়ে স্থানীয়দের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে মনিপুরে এই সহিংসতার সূত্রপাত হয় তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলায় উপজাতি সংহতি মার্চ নিয়ে।