ইম্ফল : সহিংসতায় বিধ্বস্ত মনিপুরে গত ২২ এবং ২৩ জুলাই দু’দিনে মায়ানমারের ৭০০-এর অধিক নাগরিক সঠিক ভ্রমন নতি ছাড়াই অনুপ্রবেশ করায় নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ৩০১টি শিশুও রয়েছে। এব্যাপারে মনিপুর সরকার আসাম রাইফেলসের কাছে একটি বিশদ প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে।
সোমবার মণিপুরের মুখ্য সচিব বিনীত যোশি বলেছেন যে পূর্বে রাজ্য সরকার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে বৈধ নথি ছাড়া মণিপুরে মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
রাজ্য সরকার এব্যাপারে আসাম রাইফেলস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে যে কেন এবং কীভাবে মায়ানমারের ৭০০-র অধিক নাগরিককে নথি ছাড়াই চান্দেল জেলায় ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে মায়ানমার সেই অবৈধ নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেছেন জোশি।
আসাম রাইফেলস এর আগে চান্দেল জেলার ডেপুটি কমিশনারকে জানিয়েছিল যে খাম্পাতে চলমান সংঘর্ষের কারণে ৭১৮ জন মিয়ানমার নাগরিক আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ২৩ জুলাই চান্দেল জেলা দিয়ে মণিপুরে প্রবেশ করেছে।
যোশি বলেছেন যে রাজ্য সরকার বিপুল সংখ্যক মায়ানমার নাগরিকদের ভারতে অনুপ্রবেশে উদ্বিগ্ন এবং তারা কিভাবে প্রবেশ করেছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট করার জন্য আসাম রাইফেলসের কাছ থেকে বিশদ প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
তিনি আসাম রাইফেলসকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে সেই ৭১৮ জন অবৈধ মায়ানমার নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে।
মায়ানমারের নাগরিকদের রাজ্যে অনুপ্রবেশের নিরাপত্তার প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে মণিপুর সরকারের এই পদক্ষেপ।
বিভিন্ন সময়ে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষও হয়েছে।
এই সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ভারতে পালিয়ে এসেছে।
মণিপুর সরকার আশংকা করছে যে মায়ানমারের নাগরিকদের আগমনে রাজ্যের নিরাপত্তা হুমকির কারণ হতে পারে। কারণ রাজ্যে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জাতিগত সস্ত্র গোষ্ঠীর আবাসস্থল এবং আরও বেশি মায়ানমার নাগরিকের আগমন এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে পারে।