আগরতলা, ১৩ মে : রাজধানী শহর আগরতলার উপকণ্ঠে এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের দুই দিন পর, বুধবার ত্রিপুরার গোমতি জেলায় দুই নাবালিকা উপজাতি মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।
সহকারী মহাপরিদর্শক আইন-শৃঙ্খলা জ্যোতিষ্মান দাস চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, নাবালিকা মেয়েরা দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার একটি গ্রাম থেকে আম্পির চেচুয়ায় বৈশাখী মেলায় যোগ দিতে গিয়েছিল।
সেখানে তাদের মালারাই জামাতিয়ার সাথে দেখা হয়েছিল, মালারাই তার ফেসবুক বন্ধু। তাদের একজন
মেয়েদের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে দূরে একটি টু-হুইলারে কাছাকাছি রাবার বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমাণ থাকা আরও সাত-আটজন পুরুষও তাদের ধর্ষণ করে বলেন তিনি।
জামাতিয়া পরে মেয়েদের অমরপুরে নিয়ে যায় এবং পরদিন সকালে তাদের ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ।
মেয়েটির পরিবার বীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করার পর জামাতিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পৃথক ঘটনায় ধলাই জেলায় ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ নতিভুক্ত হয়েছে।
সেই সময় মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল এবং মা আসে তখন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা শুক্রবার বলেছেন, তার সরকার এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
এ ধরনের অপরাধের জন্য একেবারে শূন্য সহনশীলতা থাকা উচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব ঘটনা ঘটছে। এগুলি দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মানসিকতার উদাহরণ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
তবে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করব যে জড়িতরা শাস্তি পাবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিপথ গ্রহণ করবে।
এদিকে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও পুলিশ বলেছে যে মামলায় তৃতীয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এআইজি চৌধুরী বলেন, ৪৫বছর বয়সী লক্ষ্মণ পালকে অন্য দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে সহায়তা ও মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।