পাঞ্জাব : চাকরির অজুহাতে পাঞ্জাব থেকে ওমানে নিয়ে যাওয়া মহিলাদের প্রতারিত করার গুরত্বর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
এসব মহিলাদের উপসাগরীয় দেশে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে পাঞ্জাবের এমনই এক মহিলার একটি যন্ত্রণাদায়ক গল্প বর্ণনা করা হয়েছে।
যিনি রাজ্যসভার সদস্য সন্ত বলবীর সিং সিচেওয়াল এবং মন্ত্রকের কঠোর প্রচেষ্টার পরে উপসাগরীয় দেশে শিকারীর খপ্পর থেকে পালাতে যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলেন।
পাঞ্জাবের কাপুরথালার ওই মহিলার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের নারীদের চাকরি দেওয়ার অজুহাতে ওমানে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানে স্থানীয় লোকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এবং তারাও বেঁচে থাকার জন্য অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে পাঞ্জাবের আরও ৩৫ জন অবিবাহিত-বিবাহিত যুবতীর একটি দল রয়েছে।
যারা ভারতে তাদের ট্রাভেল এজেন্টদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে উপসাগরীয় দেশে আটকা পড়েছে এবং তাদেরকে উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছে।
ভুক্তভোগীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে.যে যারা প্রতিরোধ করে তাদের অনেক দিন ধরে অভুক্ত রাখা হয়।
ভুক্তভোগী বলেছেন, যখন তিনি ৩০,০০০ টাকা মাসিক বেতনে একটি হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করছিলেন সে সময় তার খালা বলেছিলেন ওমানে গেলে ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ভিকটিম অশিক্ষিত, তাকে ওমানে গাল্ফ ট্যুরিস্ট ভিসায় পাঠানো হয়েছিল। তার ট্রাভেল এজেন্ট খালা তার কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রায় ৭০,০০০ হাজার টাকা নিয়েছে।
পরে তাকে খালা মাস্কাটের অন্যান্য এজেন্টদের সাথে তাকে সেখানকার কিছু স্থানীয় লোকের কাছে ১.৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে।
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে তিনি ১৬ মার্চ যখন সেখানে অবতরণ করেন তখন সেখানকার এজেন্টরা তার পাসপোর্ট ও ফোন নিয়ে যায় এবং তাকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখা হয়।
কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। পরে তিনি দেখতে পান যে পাঞ্জাবের আরও ৩৫ জন মহিলাকেও সেখানে আটকে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগীকেও তাদের সঙ্গে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু তিনি যখন এজেন্টদেরকে প্রতিশ্রুত তত্ত্বাবধায়ক কাজের জন্য হাসপাতালে পাঠাতে বলেন তখন তারা তাকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে।
যা ভুক্তভোগী প্রতিহত করেছেন এবং সরাসরি প্রত্যাখ্যানও করেন। প্রত্যাখ্যান করায় তারা তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করেছিল বলেও ভুক্তভোগী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।