রাতাবাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, স্বাভাবিক মৃত্যু না খুন প্রশ্ন উঠেছে? সঠিক তদন্তের দাবি
শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর : রুটি রুজির তাগিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলোনা মতিউরের। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে কফিন বন্দী হয়ে বাড়ী ফিরছেন আজ। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু না খুন, রহস্যাবৃত।
শোকের ছায়া নেমে এসেছে বৃহত্তর রাতাবাড়ি এলাকাতে।
পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমোটো অন্ন যোগাতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন মতিউর। চোখে ছিল নানা রঙিন স্বপ্ন।
কিন্ত সব স্বপ্ন রয়ে গেলো স্বপ্ন হিসাবেই। লাশ হয়ে ফিরতে হলো নিজেকে। হৃদয় বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়িতে।
কয়েকদিন আগে রাতাবাড়ী সমষ্টির কাজির বাজার জিপিরপশ্চিম বেথুবাড়ী গ্রামের আকদ্দছ আলীর ছেলে মতিউর রহমান কাজের উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দিতে ঘর থেকে বের হন।
জানাগেছে মহারাষ্ট্রে পৌছে মেডিকেল পরীক্ষায় নাকি তিনি নাকি আনফিট বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন। আর তখনই বিষন্নতা দেখা দেয় মতিউরের।
নিরুপায় হয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মতিউর বাড়ি অভিমুখে রওয়ানা দেন। হাজারো রঙিন স্বপ্ন তার মাটি হয়ে যায়।
বিহারের পাটনা রেলষ্টেশনে আসার পর বিরতিকালীন অবস্থায় ট্রেন ছুটে যায় বলে জানা গেছে। ট্রেনে রয়ে যায় মতিউরের ঘাম ঝরিয়ে তৈরী করা জীবনের মূল্যবান নথিপত্র।
বিষয়টি বাড়ীতে ফোন করে সবিস্তারে জানান মতিউর। তখন পরিবারের লোকেরা তাকে আশ্বস্ত করেন যে যেখানে আছে সেখানেই থাকার জন্য।
বাড়ী থেকে লোকপাঠিয়ে তাকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্ত হঠাৎ করে মতিউরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
অন্য একজন ফোন রিসিভ করে জানান মতিউরকে দেখা গেছে বিহারের একটি গ্রামে। বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি মোবাইলের লোকেশন ধরে আজ বাড়ির লোক গিয়ে পৌছান।
ততক্ষণে সবশেষ গিয়েছে। তারা গিয়ে দেখেন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। মতিউর ইহজগতে আর বেচে নেই।
পড়ে আছে নিথর দেহ।
সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মতিউরকে এম্বুল্যান্স করে নিয়ে আসা হচ্ছে বাড়িতে। ২৫ বছরের যুবকের অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মা-বাবা সহ আত্মীয় স্বজনেরা। ওটা স্বাভাবিক মৃত্যু না, খুন বিষয়টি প্রশ্ন উঠেছে? সবাই এর সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।