জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৩ জুন : প্রধান শিক্ষকের আহবানে সাড়া দিয়ে করিমগঞ্জের পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নয়টি সিলিং ফ্যান দান করলেন ৬ বন্ধু।
তারা সবাই এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সমঝে দিয়েছেন প্রাক্তন ছাত্ররা।
অন্যদিকে, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি মর্মর মূর্তি নির্মাণ করে দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রাক্তন ছাত্ররা।
গত বন্যার সময় পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নেন শরণার্থীরা, তখন বিদ্যালয়ের সিলিং ফ্যানগুলি চুরি হয়।
এরপর প্রধান শিক্ষক বিভাগীয় কার্যালয়ে বিষয়টি জানান, কিন্তু এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়নি শিক্ষা বিভাগ।
সম্প্রতি এ নিয়ে প্রাক্তন ছাত্রদের আহ্বান জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিষ দাস এর ফলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিদ্যালয়কে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসেন ছয় বন্ধু।
সেই অনুযায়ী সিলিং ফ্যান ক্রয় করে পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হাজির হন রাজশেখর পাল, চন্দন পাল, কিরন কুরি, চন্দন দাস, হিরন্ময় দাস এবং সঞ্জিত দাস।
তারা সবাই বিদ্যালয়ের ২০০২-০৩ ব্যাচ। কিরন এবং হিরন্ময় আইটি সেক্টরে কর্মরত, বাকি চারজন ব্যবসায়ী।
এদিনই শ্রেণিকক্ষগুলিতে ফ্যান লাগানো হয়, তখন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকা সংঘমিত্রা চন্দ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সুভাষচন্দ্র বসু একবার করিমগঞ্জে এসে পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসেন এবং জনসভায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ১৯৩০ সালে স্থাপন হওয়া বিদ্যালয় আগামীতে শতবর্ষ উদযাপন করবে, প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি অবগত করেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি স্থাপন করতে প্রাক্তন ছাত্রদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষ থেকে রাজশেখর পাল ‘গণ আওয়াজ’কে বলেছেন, পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেতাজির আগমণ এবং বক্তব্য রাখা ঐতিহাসিক এবং গর্বের মুহূর্ত।
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নেতাজীর মূর্তি বসাতে যতটুকু সহযোগিতায় প্রয়োজন এগিয়ে আসবো আমরা, এ নিয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।