সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া : দুল্লভছড়া খন্ডউন্নয়নের অন্তর্গত ভেটাবন্দ জিপির ৩নং ওয়ার্ডের রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে।
স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগের উন্নয়নে কোটি কোটি বরাদ্দ করলেও পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং একাংশ চামছার পকেট ভরতেই সব অর্থ চলে যাচ্ছে।
এরকমই এক অভিযোগ উঠেছে ভেটারবন্দ জিপির সভানেত্রী শিপ্রা দেবনাথ ও ওয়ার্ড সদস্য কৃষ্ণা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
ভেটারবন্দ ৩নং ওয়ার্ডের জনগণের অভিযোগ যে তাদের রাস্তার কাজের জন্য কয়েক বার অর্থ বরাদ্দ হলেও সামান্য কাজ করে পুরোটাই জিপির সভানেত্রী ও ওয়ার্ড সদস্য হাপিস করেছেন।
তাদের অভিযোগ যে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাস্তার উন্নয়নের জন্য চতুর্দশ অর্থ কমিশনের ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও সাইড ওয়াল করেই বাকী অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তারা জানান যে তাদের রাস্তার প্রায় ২০০ মিটার থেকে ইট তুলে এই সাইড ওয়ালের কাজ করা হলেও পরবর্তীতে ইটগুলো না বসানোয় রাস্তায় দিয়ে ছাত্রছাত্রী সহ জনসাধারণ চলাচল করতে পারছেন না।
এই রাস্তা দিয়ে ভেটারবন্দ এল পি স্কুল সহ অঙ্গনওয়ারীর কচিকাচা পড়ূয়াদের বিপদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
যদিও গ্রামবাসীরা নিজেরাই পকেটের টাকা দিয়ে রাস্তার কিছুটা কাজ করেছেন, কিন্তু বর্ষার ভারি বর্ষণে রাস্তায় কাদা হওয়ায় রোগী সহ ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করতে পারেছে না।
অন্যদিকে কাজের তথ্য ফলক অনুযায়ী এই রাস্তার জন্য বেশ কয়েকবার অর্থ বরাদ্দ হয়েছে দেখা গেছে।
এম জি এন রেগার অধীনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৬,৮৫,২৭৪ ও ২০২১-২২ এ ৪,২১,০৮৮ টাকা বরাদ্দ করা হলেও কোন কাজ করা হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
তাছাড়া ২০০১-২২ বছরের অর্থ বছরেও অর্থ বরাদ্ধ হলেও তথ্য ফলক থেকে কাজের বরাদ্দ অর্থের পরিমান মুছিয়ে হাপিস করার অভিযোগ আনা হয়।
দুল্লভছড়া খন্ডউন্নয়ন অধিকারিক, পর্যবেক্ষক জেই সহ জিপি সভানেত্রী ও ওয়ার্ড সদস্যার প্রতিনিধিদের মিলে মিসি এই ব্যাপক দুর্নীতির কারনে সাধারণ জনগণদের গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে।
অতচ জিপি সভানেত্রী ও ওয়ার্ড সদস্য দুজনই শাসক দলের, তাই স্বাভাবিক কারনেই স্বচ্ছ সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এনিয়ে গ্রামবাসিরা রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের দৃষ্টি দৃষ্টি আর্কষন করছে। অন্যতায় আগামী নির্বাচনে ভোট বয়কটের মত কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছেন।