হাইলাকান্দি, ১১ জানুয়ারি : সবুজ ভেজা এবং শুকনো নীল, অর্থাৎ ভেজা জাতীয় আবর্জনার জন্য সবুজ ডাস্টবিন এবং শুকনো আবর্জনার জন্য নীল ডাস্টবিন।
স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার হাইলাকান্দির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সচেতনা সভা অনুষ্ঠিত হল।
ওয়ার্ডের বাণী মন্দিরে আয়োজিত এই সভায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে স্বচ্ছতা বিষয়ে করণীয় নানা পদক্ষেপ ও সতর্কতার দিকে আলোকপাত করেন হাইলাকান্দি পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সারি লাঙ্গতাউ।
উপস্থিত ছিলেন স্বচ্ছ ভারত অভিযান হাইলাকান্দির সিটি প্রজেক্ট অফিসার আনোয়ার হোসেন লস্কর, ১৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার সুপর্ণা দাসের প্রতিনিধি চিন্ময় দাস সহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এগজিকিউটিভ অফিসার লাঙ্গতাউ তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্বচ্ছতা না থাকলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়, এতে পরিবেশ যেমন বিশ্রী হয়ে উঠে তেমনি নানা রোগের সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে বয়স্ক মানুষরা বেশি সমস্যায় পড়েন পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না-থাকলে। আর সেই লক্ষ্যেই হাইলাকান্দি পুরসভা গোটা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
এতে ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে এই ১৩ নং ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড ধরে স্বচ্ছতার অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এখন সাফাইকর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করছেন।
ভেজা ও শুকনো দুই ধরনের আবর্জনা পৃথকভাবে সংগ্রহ করা হবে। এজন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
স্বচ্ছ ভারত অভিযান হাইলাকান্দির সিটি প্রজেক্ট অফিসার আনোয়ার হোসেন লস্কর বলেন, ১৩ নং ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে ধরে নিয়ে গোটা শহরকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় আনা হবে ক্রমে।
আর এতে পৃথকভাবে আবর্জনা ম্যানেজমেন্ট করা হবে।
তিনি জানান, যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা গর্ত করে তাতে পচনশীল আবর্জনা ফেলে দিতে পারবেন, আর প্লাস্টিক আদি শক্ত আবর্জনা পুরসভা নিয়োজিত টিমকে দিয়ে দিতে পারবেন মাসিক নির্দিষ্ট শুল্কর বিনিময়ে।
১৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার সুপর্ণা দাসের প্রতিনিধি চিন্ময় দাস জানান, পুরসভা রিসাইক্লিং একটি ইউনিট রয়েছে যাতে পচনশীল আবর্জনাকে সার তৈরির কাজে লাগানো যেত।
কিন্তু শক্ত ও ভেজা সবধরনের আবর্জনা একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলায় এই আবর্জনাগুলো রিসাইকল করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি পুরসভার দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী সবাইকে পৃথকভাবে আবর্জনাগুলি ডাস্টবিনে ফেলার আবেদন জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুরু করা স্বচ্ছ ভারত অভিযান হাইলাকান্দিতেও সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে সর্বাবস্থায় সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পুরপতি কল্যাণ গোস্বামীর নেতৃত্বে পুরবোর্ড স্বচ্ছ সুন্দর হাইলাকান্দি গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে যে কোনো সমস্যায় ডাকলে তাকে পাশে পাওয়া যাবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।