দিগরখালে পুলিশের হাতে আটক দুটি ট্রাক : গ্রেপ্তার-৩
দীপন কুমার দাস, কাটিগড়া : কাটিগড়াকে করিডোর করে ইদানিং মাথাছড়া দিয়েছে উঠেছে অবৈধ বার্মিজ সুপারির বাণিজ্য।
পুলিশকে বৃদ্ধাংগুল দেখিয়ে দিব্যি এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা।
তবে গুমড়া পুলিশের রুটিন তল্লাশির সময় বার্মিজ সুপারি বোঝাই দুটি ট্রাক আটক করা হয়েছে! গ্রেফতার করা দুই ট্রাক চালককে।
উৎকোচ দিয়ে ট্রাক দুটিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অপর আরও এক ব্যক্তি গুমড়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
সূত্রের খবর বুধবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ দিগরখাল টুলগেট সংলগ্ন স্থানে গুমড়া পুলিশের রুটিন তল্লাশির সময় ধরা পড়ে এই দুটি ট্রাক।
তল্লাশির সময় কর্মরত পুলিশ কর্মীরা TR 01 AC 1942 এবং AS 01 FA 8055 নম্বরের ট্রাক দুটির মধ্যে অতিরিক্ত গোপন চেম্বার প্রত্যক্ষ করেন।
সন্দেহজনক অতিরিক্ত চেম্বার খোলা মাত্রই ঝুলির বিড়াল বেরিয়ে আসে। দুটি ট্রাকে গোপন চেম্বার তৈরি করে এই সব সুপারি পাচার করা হচ্ছে।
পুলিশ ট্রাক দুটোর সঙ্গে চালক এনাম উদ্দিন মজুমদার এবং সাইদুল রহমান বড়ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে গুমড়া পুলিশ অনুসন্ধান কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
এরপর এক চালকের মোবাইলে বারবার ফোন করে ট্রাক দুটিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পুলিশের সাথে যোগাযোগ আরম্ভ করেন অজ্ঞাত পরিচিত এক ব্যক্তি।
বেশ কয়েকবার ফোনকলের মাধ্যমে উৎকোচ দেওয়ার প্রস্তাব আসার পর ওই ব্যক্তিকে আটক করতে ফন্দি আঁটে গুমড়া পুলিশ।
এক সময় পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নগদ এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশের দারস্থ হয় হরিটিকর পার্ট টু-র বাসিন্দা সাহিদুর রহমান চৌধুরী নামের এক যুবক।
পুলিশকে উৎকোচ দেওয়া এবং আটক বার্মিজ সুপারির সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে নগদ এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা সহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ধৃতদ তিন জনকে শিলচর আদালতে প্রেরণ করেছে গুমড়া অনুসন্ধান কেন্দ্রের পুলিশ।
উল্লেখ্য বিগত কয়েক মাস থেকে ৬নং জাতীয় সড়ককে করিডোর করে কাটিগড়া হয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে শতশত বার্মিজ সুপারি ভর্তি ট্রাক।
পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ইদানিং নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে এই অবৈধ বাণিজ্যের সদাগররা।
গাড়িতে অতিরিক্ত চেম্বার তৈরি করে সুপারি পাচারের পদ্ধতি পুলিশের নজরে পড়ে যাওয়ায় আজকাল বিলাসবহুল ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও পাচার হচ্ছে এই অবৈধ বার্মিজ সুপারি।
ব্যক্তিগত গাড়ির বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত কারুকার্য করে সুপারি পাচারের জন্য প্রস্তুত করা হয়, আর এই সমস্ত গাড়ি দিয়ে সুপারি পাচার করে নিয়ে যাওয়া হয় আসাম-মেঘালয় সীমান্তে গড়ে উঠা গুদামে। গুদাম থেকে গাড়িভর্তি করে ভিন রাজ্যে পাচার করা হয়।