কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৬৯৬টি বুথে সোমবার কোনও বড় ঘটনা ছাড়াই পুনঃভোট সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৬৯.৮৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন (এসইসি) ১৯টি জেলার ৬৯৬টি বুথে পুনঃভোটের নির্দেশ দেয়।
এই বুথগুলোতে ভোট হিংসা বা ব্যালটের সাথে টেম্পারিংয়ের কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল এবং কিছু কিছু জায়গায় ভোটাররা নির্বাচন বর্জন করেছেন তাই ভোটগ্রহণ করা যায়নি।
সোমবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৫টায়, কিন্তু সময়মতো ব্যালট বাক্স পৌঁছাতে না পারায় কিছু বুথে দেরিতে ভোট শুরু হয়।
এ সব বুথে ভোটের সময় বাড়ানো হয়। তবে নিয়ম অনুসারে যারা বিকাল ৫টার আগে বুথে প্রবেশ করবেন তাকে ভোটের সুযোগ দিতে হবে এই নিয়মে বেশ কয়েকটি স্থানে বিকাল ৫টার পরেও ভোটগ্রহণ অব্যাহত ছিল।
সোমবার এসইসি কর্মকর্তা বলেন, যেসব জেলায় পুনঃভোট চলছে সেখান থেকে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকটি বিপথগামী ঘটনা ঘটেছে এবং সেগুলি পুলিশ ম্যানেজ করেছে এক এসইসি কর্মকর্তা বলেছেন।
নদীয়ায় তেহাট্টা মহকুমায় ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে পিটিআই জানিয়েছে।
ব্যাপক সহিংসতা এবং বুথ দখল এবং মিথ্যা ভোট দেওয়ার অভিযোগ বেঙ্গল পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাধান্য পেয়েছে।
পিটিআই জানিয়েছে, ভোটের দিন অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বলেছে যে অন্তত ৬,০০০টি আসনে পুনঃভোট হওয়া উচিত দল ঘোষণা এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাবে।
তিন স্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য শনিবার ৬১,০০০টিরও বেশি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বেশ কিছু জায়গায় ব্যালট বাক্স লুট করে আগুন লাগিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সহিংসতায় ১৫ জন নিহত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মোট ৫.৬৭ কোটি মানুষ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ৭৩,৮৮৭টি আসনে ২.০৬ লাখ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়।