মোস্তফা এ মজুমদার : ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে সমষ্টি পুননির্ধারণের খসড়ার তীব্র বিরোধিতায় এবার মাঠে নামল হাইলাকান্দি মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন।
আজ মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলাশাসক জ্যোতির্ময় দৈমারীর সঙ্গে দেখা করে প্রকাশিত ডিলিমিটেশনের খসড়া বাতিল সহ বারাকের দুটি সমষ্টি বহাল রাখার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতি নির্মল কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ খান, হাইলাকান্দি জেলা সম্পাদক খলিল আহমেদ মজুমদার ও হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি অনন্ত কুমার দাস সহ সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ খান ও জেলা সম্পাদক খলিল আহমেদ মজুমদার।
মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ খান বলেন, প্রকাশিত ডিলিমিটেশনের এই খসড়া সম্পূর্ণ অসংবিধানিক, অবৈজ্ঞানিক, অগণতান্ত্রিক এবং স্বৈরাচারী একটি বিতর্কিত খসড়া।
এই খসড়া কোন অবস্থায় গ্ৰহণ যোগ্য নয়, তাই মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন এই খসড়ার তীব্র বিরোধিতা করছে।
আগামী ২০২৬ সালে সমগ্র দেশের সঙ্গে ডিলিমিটেশন অ্যক্ট মেনে লোকসভা এবং বিধানসভা সমষ্টিগুলো পুননির্ধারণ করার দাবি জানান তারা।
তাছাড়া ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে অসমের জনসংখ্যা অনুযায়ী সমষ্টি বৃদ্ধি করার কথা ছিল, কিন্তু এখানে সমষ্টি কর্তন করা অযৌক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক কাজ।
তাই অবিলম্বে এই খসড়া বাতিল করে সমগ্র দেশের সঙ্গে ২০২৬ সালে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমষ্টি পুননির্ধারণের দাবি জানান মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ খান।
এদিকে মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক খলিল আহমেদ মজুমদার বলেন, অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া এই বরাক উপত্যকা থেকে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে দুটি সমষ্টি বিলুপ্ত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে শ্রমিক ইউনিয়ন।
বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করছে এবং ইতিমধ্যে জেলাশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে অভিযোগ জানিয়ে স্মারকপত্র প্রেরণ করেছে।
সর্বাবস্থায় বরাকের পনেরটি সমষ্টি বহাল রেখে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে আরও সমষ্টি বৃদ্ধি করার দাবি জানান তিনি।
প্রকাশিত ডিলিমিটেশনের এই খসড়া অবিলম্বে বাতিল করতে হবে অন্যতায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের আন্দোলন তীব্রতর হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।