ওয়াশিংটন : মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে প্যারেড করার ভিডিও দেখে মর্মাহত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিডেন প্রশাসন ন্যায়বিচার পাওয়ার ভারত সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে জানিয়েছেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন।
কাংপোকপি জেলায় গত ৪ মে একদল পুরুষ দুই মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় প্যারেড করা এবং শ্লীলতাহানির ভিডিওটি ১৯ জুলাই ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠে।
বিডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, মণিপুরে দুই মহিলার উপর এই চরম হামলার ভিডিও দেখে আমরা হতবাক ও আতঙ্কিত হয়েছি।
লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার এই কাজ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের গভীর সহানুভূতি জানাই এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।
মঙ্গলবার তার দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল মণিপুরে সহিংসতা নিয়ে এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
প্যাটেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই উল্লেখ করেছেন যে নারীর প্রতি এই ধরনের সহিংসতা যেকোনো সভ্য সমাজে লজ্জাজনক।
প্যাটেল বলেন আমরা আগেই বলেছি, মণিপুরে সহিংসতার একটি শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানকে উৎসাহিত করি, কর্তৃপক্ষকে মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দিতে ও সমস্ত গোষ্ঠীর জীবন-সম্পত্তি রক্ষা করতে উৎসাহিত করি।
মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি গত সপ্তাহে এই ঘটনায় বেদনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, বলেছেন যে এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়কে লজ্জা দিয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না, যদিও কংগ্রেস তার মন্তব্যকে খুব কম এবং খুব দেরী হয়েছে বলেছে।
৩ মে রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মণিপুরী প্রবাসীরা রাজ্যে সহিংসতার অবিলম্বে অবসান এবং রাষ্ট্রপতির শাসন জারির দাবি করেছে, যা মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে উত্তর মণিপুর উপজাতি সমিতির সভাপতি ফ্লোরেন্স লো আমি এই সমস্যা সম্পর্কে কথা বলতে খুব ক্লান্ত। খোদ ভারতেই একটি খুব সহজ সমাধান রয়েছে, যা হল রাষ্ট্রপতির শাসন।
সরকার তাদের নিজেদের কারণে এই বিষয়ে কিছু না করার বা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন উপজাতি সমিতির সভাপতি ফ্লোরেন্স লো। ডালাসে টেক্সাস ইউনিভার্সিটির ডিজিটাল প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টের অ্যাডজান্ট প্রফেসর, ফ্লোরেন্স হলেন উত্তর প্রদেশ ক্যাডারের একজন প্রাক্তন ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস অফিসারের মেয়ে।