শিলচর, ২৮ জুলাই : কাছাড় জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও গদ্রেজ এগ্রভেট দ্বারা কাছাড় জেলায় তৈলপাম চারা রোপণ অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় শুক্রবার।
এদিন উধারবন সমষ্টির ঝাঁপিরবন এলাকায় প্রথম বারের মতন তৈলপাম চারা রোপন সহ ১৪৩টি চারা বণ্টন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আয়ুক্ত রোহন কুমার ঝা, অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত যুবরাজ বরঠাকুর, জেলা কৃষি আধিকারিক ড০ এ আর আহমেদ, পুলক দাস, উধারবন বিধায়ক প্রতিনিধি নবারুণ চক্রবর্তী, শিলচর ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব, এজিপি জেলা সম্পাদক মনিতন সিংহ, উধারবন কৃষাণ মোর্চা সভাপতি মিলন রায়।
গোদ্রেজ এগ্রভেটের তরফে ছিলেন ড০ টি নগেন্দ্র রাও, সৌগত নিয়োগী সিইও, সৌম্যদ্বীপ দত্ত। এছাড়াও অয়েল পাম মিশন নোডাল আধিকারিক গৌতম নাথ, উধারবন কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক জয়নাল আবেদিন সহ বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আগামী সপ্তাহে জেলার পালংঘাট, নরসিংপুর, বড়জালেঙ্গা ব্লকে ১৪৩টি করে তৈল পাম চারা বিতরণ করা হবে।
বিভাগের তরফে ২০২২-২৩ সালে কাছাড় জেলার ১৫০ হেক্টর জমি এই তেল পামের চাষের জন্য সনাক্ত করা হয়।
ভারতে ভোজ্য তেল আমদানির ফলে প্রতি বছর এক বিরাট অংকের টাকা বাইরের দেশে চলে যাচ্ছে, তাই পামতেল চাষের মধ্য দিয়ে ভোজ্য তেলে স্বনির্ভতা অর্জনই মূল লক্ষ্য সরকারের।
কৃষককে এই চাষে উৎসাহ প্রদান করতে সরকার নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ও অর্থনৈতিক সহায়তা সহ কারিগরী শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে।
অন্যান্য বাণিজ্যিক তেল বীজ চাষের তুলনায় অয়েল পাম চাষে কম ইনপুট প্রয়োজন, সাথে তৈলপাম চাষে খরচও কম।
অয়েল পাম হলো খেজুরের মতো গাছ যার ফলের খোসা থেকে যান্ত্রিকভাবে তেল বের করা হয় এবং পরিশোধিত এই তেল ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
চাষটি এতদঞ্চলে নতুন হওয়ায় কৃষকদের সরকারি পরিকল্পনার নানা বিষয়ের সাথে ইতিমধ্যেই অবগত করানো হয়েছে এগ্রভেট ও কৃষি বিভাগ দ্বারা।
তার সঙ্গে সরকার এই চাষে অনেক ধরনের সাহায্য প্রদান করছে- যেমন কৃষি জমি প্রস্তুতিকরণ, চারাগাছ বপন, যন্ত্রপাতির উপরে ভূর্তুকি বলে জানান জেলা আযুক্ত রোহান কুমার ঝা।
এই যোজনা সরকারের এক মহতি প্রকল্প, তৈলপাম চারা রোপণের পর চতুর্থ বছর থেকে আয় দিতে শুরু করে। ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত নিয়মিত আয় পাবেন কৃষকরা।
তৈলপাম গাছের ফল কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করবে গদরেজ এগ্রভেট লিমিটেড এবং তার মূল্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দিবে কোম্পানি।
তাই বিভাগ সহ সবার পূর্ণ সহযোগিতা আহ্বান করেন এডিসি যুবরাজ বরঠাকুর।
অন্যান্য বক্তারাও অনুষ্ঠানে তৈল পাম এবং সরকারের প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে প্রাসংগিক বক্তব্য রাখেন।
গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগীয় মহকুমা কৃষি আধিকারিক ড০ নিখিল চন্দ্র দাস। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার অসমের ১৮টি জেলায় এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে এরমধ্যে বরাক উপত্যকার তিনটি জেলাকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।