গুয়াহাটি, ৮ অক্টোবর : গুয়াহাটির বশিষ্ঠ চারিআলিতে শনিবার বিজেপির নবনির্মিত প্রদেশ কার্যালয় “অটল বিহারী বাজপেয়ী ভবনে”র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাম নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় অমিত শাহ বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। বিগত ৮ বছরে এ অঞ্চলের বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর প্রায় ৯ হাজার সদস্য অস্ত্র ত্যাগ করে জাতীয় জীবনের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল থেকে সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলেও শাহ উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ২০১৪ সালের পর থেকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। অনুষ্ঠানে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, দল সমগ্র দেশে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যালয় স্থাপন করবে।
বলেন, এ ধরনের একটি অত্যাধুনিক কার্যালয় গুয়াহাটিতে স্থাপন করা গৌরবের বিষয়। উভয়েই আজ একই সঙ্গে ভার্চুয়াল ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক স্থানীয় কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন।
এর পর আজ খানাপাড়া খেলার মাঠে এক কার্যকর্তা সম্মেলনকে সম্বোধন করে শাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৫ বছরের মধ্যে অসমের বন্যা সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, দল সমগ্র দেশে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যালয় স্থাপন করবে।
এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে শাহ এই অঞ্চলে মাদক দ্রব্যের অবৈধ সরবরাহ করার ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার জব্দ করা প্রায় ৪০ হাজার কিলোগ্রাম মাদক দ্রব্য আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
এরপর শাহ উত্তর-পূর্ব মহাকাশ প্রয়োগ কেন্দ্রের এক বৈঠকেও মিলিত হবেন। শিলং-এ অবস্থিত এই কেন্দ্রটি কেন্দ্রীয় মহাকাশ বিভাগ এবং উত্তর-পূর্ব পরিষদ যৌথভাবে স্থাপন করেছিল।

উল্লেখ্য যে, ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৮০ সালে গুয়াহাটির উজান বাজারে মাত্র এক কামরার কার্যালয় থেকে রাজ্যে দলীয় কাজ-কর্ম শুরু করেছিল। আজ কয়েকজন বরিষ্ঠ দলীয় কর্মী ও নেতাকেও সংবর্ধনা জানানো হয়। দলের রাজ্য সভাপতি ভবেশ কলিতা, মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এবং রামেশ্বর তেলি এই প্রবীণ নেতা কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।