সিপাহিজলা, ত্রিপুরা : হিজাব বিতর্ক এবার ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার একটি সরকারি স্কুলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।
সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েদের হিজাব পরার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুক্রবার উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ১০ শ্রেনীর এক ছাত্র হিজাব পরাকে সমর্থন করার কারনে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
ঘটনাটি কোরোইমুরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যখন মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব না পরে স্কুল ইউনিফর্মে স্কুলে আসার নির্দেশনা দেন এ নিয়েই মতবিরোধের সূত্রপাত হয়৷
একজন পুলিশ অফিসারের মতে ১০ তম শ্রেণীর ছাত্র অন্যান্য ছাত্রদের সাথে প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ভাংচুর চালায়।
এগুলো দেখে স্কুলের বাইরে একদল জনতা জড়ো হয় এবং ছাত্রটি বেরিয়ে আসার পর তার উপর হামলা চালায়, ফলে সে আহত হয়।
পুলিশের আইন ও শৃঙ্খলার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি), জ্যোতিষ্মান দাস নিশ্চিত করেছেন তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ নন্দী বলেছেন যে শিক্ষকদের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে তিনি সমস্ত ছাত্রদের যথাযথ ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যাওয়ার জন্য একটি নির্দেশ জারি করেছিলেন।
কিন্তু সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হিজাব পরাকে তাদের ধর্মীয় একটি বিশ্বাস হিসাবে ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে।
পরিস্থিতির জটিল হওয়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করে ধর্ম নির্বিশেষে সকল ছাত্রদের জন্য স্কুল ইউনিফর্মের নিয়ম সমানভাবে প্রয়োগ করার আহ্বান জানায়।
এই উত্তেজনার মধ্যে আগের দিন হিন্দু ছাত্রদের একটি দল জাফরান রঙের কুর্তা পরে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষককে তাদের স্কুল ইউনিফর্ম নীতি মেনে চলার অনুরোধ করতে প্ররোচিত করেছিল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কিন্তু ঘটনাটি স্কুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় পটভূমির শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।