হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : আলগাপুর সমষ্টির বক্রিহাওর ষষ্ট খন্ডে রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠল। আপাতত কাজ বন্ধ করে বিধায়ক হাজি নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসী।
বিধায়ক বা ইঞ্জিনিয়ার না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসী। তাদেরকে কাজের প্ল্যান এস্টিমেট দেখিয়ে তারপর কাজ আরম্ভ করতে হবে।
কাঁদাযুক্ত রাস্তায় কোনো ধরনের রুলিং ও মেটেলিং ছাড়াই চলছে ব্লক বসানো এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীর।
প্রায় বছর খানেক আগে এই রাস্তায় মাটি ফেলে রাখা হয়েছিল যা বর্ষাকালে কাঁদায় পরিণত হয়েছে। প্রায় জায়গায় খেতের জমির মত অবস্থা।
এরকম একটি রাস্তায় কিছুটা ডাস্ট দিয়ে তার উপর রুলিং ও মেটেলিং ছাড়াই ব্লক বসানোর অভিযোগ করলেন গ্রামবাসী।
বুধবার সংবাদিক ডেকে তছলিম উদ্দিন, মস্তাক আহমদ ও তৌহিদ আহমদ, নজমু হাসান, ইয়ারিস আলী, তাইজুল ইসলাম, বুরহান উদ্দিন, হুসেন আহমদ, আব্দুল নূর, নাজির হুসেন, সেলিম উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন এই রাস্তাই তাদের অস্তিত্ব।
স্বাধীনতার পর অনেক নেতা মন্ত্রীদের মিথ্যা আশ্বাসের নাটক শেষে পিছপড়া গোটা বক্রিহাওর এলাকার মেরুদন্ড এই রাস্তাটি উপহার স্বরূপ দিয়েছিলেন বিধায়ক হাজি নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
এতে বক্রিহাওর বাসীর আজীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে, যার জন্য তারা বিধায়ককে ধন্যবাদ জানান।
তবে এই রাস্তাটিতেও অসাধু কিছু ব্যাক্তিত্বের জন্য সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়িত হতে দেখা যাচ্ছে না।
এভাবে যদি গ্রামবাসীদের কোনোমতে বাচ্চাদের ললিপপ দিয়ে বুঝানো হয় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে যাবে।
এতে আবারও আগেকার মত পরিণত হবে গ্রামের রাস্তাটি।
তাই গ্রামটির ভুক্তভোগী জনতা বুধবার সংবাদিক ডেকে রাস্তাটি পরিদর্শন করতে বিধায়কের কাছে বিনম্র অনুরোধ জানান।
কাজটি কোন স্কীমের অধীন, দায়িত্বে বাস্তুকার কে রয়েছেন বা ঠিকাদার কে সেটাও স্পষ্ট নয় গ্রামবাসীর কাছে।
কারণ আজ পর্যন্ত এই জায়গায় নির্মীয়মান রাস্তার কাজের কোনো ফলক লাগানো হয়নি।
গ্রামবাসীদের কাজের প্ল্যানএস্টিমেট দেখিয়ে দেওয়া হোক, সাইনবোর্ড লাগানো হোক এই দাবিও জানান তারা।
এছাড়াও বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার এসে যদি বলেন কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে তাহলেও তাদের আপত্তির কিছু থাকবে না, ঠিকাদার পুনরায় কাজ আরম্ভ করতে পারবেন।
নতুবা কাজ বন্ধ থাকবে।
এদিন তারা আল্গাপুর সমষ্টির বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকেও নির্মীয়মান রাস্তাটি পরিদর্শন করার অনুরোধ জানান।