জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৪ আগস্ট : চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোয় একপ্রকার উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল করিমগঞ্জে।
শহর এবং গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে গৌরবময় মুহূর্ত সরাসরি দেখানো হয় প্রজেক্টার এবং টিভির পর্দায়।
কিছু এলাকায় আতশবাজি পুড়ানো হয়। ভারতমাতার নামে জয়ধ্বনি এবং বন্দেমাতরম স্লোগান দেওয়া হয়।
করিমগঞ্জ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে প্রজেক্টারে চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর দৃশ্য উপভোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। প্রজেক্টারে দৃশ্য দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। স্লোগান দেওয়া হয় ভারত মাতা কি জয়, বন্দেমাতরম।
বিদ্যালয়ের প্রধান আচার্য অঞ্জন গোস্বামী বলেছেন, ভালো লেগেছে। আজকের দিনটা ঐতিহাসিক।
অন্যদিকে উত্তর করিমগঞ্জের অধিকাংশ এলপি, এমই এবং হাইস্কুলে প্রজেক্টারের মাধ্যমে লাইভ দৃশ্য দেখানো হয়।
একদম প্রত্যন্ত বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রদের উপস্থিতি কম ছিল, তবে কিছু বিদ্যালয়ে উৎসাহভরে যথেষ্ট সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাগরসাঙ্গনের হাজী নামর আলি এমই স্কুল।
দক্ষিণ করিমগঞ্জ শিক্ষাখন্ডের অধীন ৮৮১ নং গোয়াসপুর এলপি স্কুলে এদিন ব্ল্যাকবোর্ডে চন্দ্রযান-৩-এর বিশাল ছবি থেকে প্রশংসিত হয়েছে এক ছাত্রী।
বেসরকারি বিদ্যালয় লিটল এঞ্জেলস স্কুল কিডজিতে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে চন্দ্রযান-৩ নিয়ে বক্তব্য রাখেন শিক্ষকরা।
বিজেপি কার্যালয়েও টিভির পর্দায় মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস বলেছেন, এখন ভারত বিশ্বের প্রথম দেশে পরিণত হলো। মা ভারতী, আজ তোমার সুনাম শিখরে।
বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন। বর্তমান শতাব্দী ভারতের শতাব্দী অর্থাৎ এই শতাব্দীতে ভারত সব দিক থেকে উন্নয়ন ও সুনামের শিখরে পৌঁছবে। এখন অমৃত কাল চলছে। দেশের জন্য সকলে মিলে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।