মোস্তাফা এ মজুমদার, হাইলাকান্দি : রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম খণ্ডের জল সরবরাহ প্রকল্পে ইউজার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।
অবস্থা বেগতিক দেখে শেষপর্যন্ত সভা বাতিল করতে বাধ্য হন সভার আহ্বায়ক।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে যে গত ১১মে রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম খণ্ডের ভেটালারপার জল সরবরাহ প্রকল্পের একটি ইউজার কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন হুজাইল আহমেদ মজুমদার (মনা)।
আব্দুল মালিক মজুমদার, দিলোয়ার হোসেন মজুমদার, আলি রাজা লস্কর, সামস উদ্দিন মজুমদাররা জানিয়েছেন এই কমিটি রাজ্যেশ্বরপুর জি পি সভাপতি বিমালাংশু নাথ এবং পি এইচই বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে গঠন করা হয়।
১৭ জন সদস্য নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দায়িত্ব নিয়ে জল প্রকল্পের জমিদাতাদের একজনকে পকল্পে নিয়োগও দিয়েছে।
কিন্তু গত কিছুদিন ধরে জমিদাতা সহ গ্রামের একাংশ সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রেখে ইউজার কমিটি গঠন করার অভিযোগ উত্থাপন করে।
এই অভিযোগের সমাধানে জি পি সভাপতি বিমালাংশু নাথ আরও একটি সভার উদ্যোগ নেন।
পিএইচই বিভাগের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম খণ্ডে সভার কাজ শুরু হলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এক সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
শেষপর্যন্ত জি পি সভাপতি বিমালাংশু নাথ অন্য আরও একদিন সভা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এদিনের সভার কাজ স্থগিত করেন।
পরে জি পি সভাপতি বিমালাংশু গণ আওয়াজকে জানান, ইউজার কমিটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় সমস্যার সমাধানের জন্য সভা ডাকা হয়েছিল।
কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সভার অগ্রগতি কিছুই হয়নি।
তাই পরবর্তী দিন ধার্য করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে, ইউজার কমিটির সভাপতি হুজাইল আহমেদ মজুমদার (মনা), গ্রুপ সদস্য আব্দুল মালিক মজুমদার প্রমুখরা অভিযোগ করেন যে জমিদাতাদের দাবি পূরণের জন্য প্রকল্পে উক্ত কমিটি একজনকে নিয়োগ দিয়েছে।
এছাড়া নদীতে থাকা বার্জের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আরও একজনকে নিয়োগ করার তাদের দাবি ছিল। কিন্তু ইউজার কমিটি ওই দাবি পূরণ না করায় দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে আগামী সভায় একটি সুষ্ঠ সমাধান হবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসী।