ব্যুরো রিপোর্ট : নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির আহ্বানে আজ গোটা বরাক উপত্যকার সাথে শিলচরেও নির্বাচন কমিশনের ডিলিমিটেশনের বিজ্ঞপ্তি জারির বিরুদ্ধে কালো দিবস পালন করেছে।
ভোরে শিলচর সদরঘাট, ক্লাব রোড, রাঙ্গীরখাড়ি, নেশন্যাল হাইওয়ে, তারাপুর সহ বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা টাঙ্গিয়ে প্রতীবাদ জানিয়েছে সংগঠন।
এছাড়াও রাঙ্গিরখাড়ির নেতাজি মুর্তি, তারাপুরের রবীন্দ্র মুর্তি, সদরঘাটের স্মামী বিবেকানন্দ মুর্তি ও ক্লাব রোডের শহীদ ক্ষুদিরাম মূর্তির সামনে পরিচালন সমিতির অন্তর্ভুক্ত কংগ্রেস, সিপিআই, এসইউসিআই (সি), সিপিআই লিবারেশন দল সহ প্রস্তাবিত ডিলিমিটেশন বিরোধী মঞ্চ, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি, এআইইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, এআইডিএসও, অমস মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ, নাগরিক স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ, অল ইণ্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন, নারী মুক্তি সংস্থা, ইয়াসি সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে জনসাধারণের মধ্যে কালো ব্যাজ বিতরণ করেন।
দুপুর সাড়ে বারোটায় পরিচালন সমিতির অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা ক্ষুদিরাম মূর্তির সামনে সংগঠনের বেনার ও কালো পতাকা নিয়ে ডিলিমিটেশনের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে বক্তব্য দেন।
সেই সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং কালো পতাকা ও বেনার ধরে টানাটানি শুরু করে।
শান্তিপূৰ্ণ অবস্থানে ১৪৪ ধারা জারি না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসনের এধরনের আচরণে সবাই হতবাক করেছে।
সিআরপিসিসি-র রাজ্যিক অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার ভট্টাচার্য শহরের প্রবীণ নাগরিকদের শান্তিপূৰ্ণ প্রতিবাদী কার্যসূচীতে পুলিশের বাধাদানে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন।
তিনি রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও দাবী করেন।
সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কালো দিবস পালনের অনুমতি চেয়ে ৩০ আগষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়।
কিন্তু গতকাল রাতে জেলা প্রশাসন থেকে এই প্রতিবাদী আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বরাক উপত্যকার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোন শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে তার জন্য উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির অঙ্গুলি হেলনে দিসপুর তৎপর হয়ে উঠেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব স্থানে কালো পতাকা লাগানো হয়েছিল পুলিশ সকাল ৯ টার মধ্যে খুলে নিয়ে যায়।
বরাক উপত্যকার দুটি বিধানসভা আসন কমিয়ে দেওয়ার জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার কোন আইনে জেলা প্রশাসন আটকে দিচ্ছে তা নিয়ে সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সংগঠন ঘোষণা করেছে, এভাবে আন্দোলন থামানো যাবেনা। আজকের এই প্রতিবাদী কার্যসূচীতে নির্মল কুমার দাস, সুব্রত চন্দ্র নাথ, সিহাব উদ্দিন আহমেদ, শ্যামদেও কুর্মী, নিতীশ দে, অতনু ভট্টাচার্য, হরিদাস দত্ত, ভবতোষ চক্রবর্তী, মাধব ঘোষ, অধ্যাপক অজয় রায়, আশু পাল, লেখিকা আদিমা মজুমদার, অরিন্দম দেব, মানস দাস, বিশ্বজিত দাস, হায়দার হোসেন চৌধুরী, অসীম নাথ, গৌরাঙ্গ নাথ, দুলালী গাঙ্গুলী, চাম্পালাল দাস, নকুল রঞ্জন পাল, হিল্লোল ভট্টাচার্য, মধুসূদন কর, মৃনাল কান্তি সোম, সুকল্পা দত্ত, অঞ্জন কুমার চন্দ, গৌর চন্দ্র দাস, দিলীপ নাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।