রবিবার ভোরে আসামের কাছাড় জেলার আন্তঃরাজ্য মিজোরাম সীমান্তের লাইলাপুর ফাঁড়ি পুলিশ সাতটি বহিরাগত বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে।
লাইলাপুর ফাঁড়ি পুলিশের অনুসন্ধান অভিযানের সময় SUV-MZ 01T 3369 নম্বরের একটি বাহন আসে যার মধ্যে এই প্রাণীগুলো ছিল।
প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে একটি পানামানিয়ান সাদা মুখের ক্যাপুচিন, চারটি কালো ম্যাকাক এবং দুটি সাধারণ অপসাম।
উদ্ধার করা এই প্রাণীগুলিকে ধলাইর হাওয়াইথাং ফরেষ্ট রেঞ্জ অফিসে সমঝে দেওয়া হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত পাঁচ মিজোরামের বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন মিজো মহিলাও রয়েছেন।
তবে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মীরা ধৃতদের নাম এবং বাহনটির ছবি সামনে আনেন নি।
এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন ধৃতদের নাম পুলিশ সামনে আনতে চাইছে না?
সাংবাদিকদের কাছে তথ্য গোপন রাখার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে? এর পিছনে কী অন্য রহস্য রয়েছে?
এদিকে কাছাড় বন বিভাগের আধিকারিক ও দলাই রেঞ্জার উত্তমা নন্দ গোস্বামী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, যে গুলি বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলাকে গৌহাটি চিরিয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু সহ বিরল প্রজাতির বিদেশী বন্যপ্রাণী কোথা থেকে আসছে এই রহস্য নিয়েও জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কারণ এর আগেও এমন বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী মিজোরাম সীমান্তের কাছাড় জেলায় পুলিশ উদ্ধার করেছে।
বন্যপ্রাণী পাচারে কারা মদত দিচ্ছে যে বনবিভাগ পাচার বাণিজ্যে লাগাম টানতে নিজেদের ব্যর্থতাকেই স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছে?