ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ, শিলচর : কাছাড় জেলায় হুহু করে বাড়ছে চুলাই মদের ব্যবসা। ট্রাইবাল এলাকাগুলোতে এই ব্যবসা ঝাকিয়ে বসেছে।
পচা ভাত, সব্জি এমনকি মানুষের উচ্ছিষ্ট সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই সর্বনাশা চুলাই মদ।
চরম অভাবের সময় কম পয়সায় হাতের নাগালে সর্বগ্রাসি নেশা পেয়ে যুবসমাজ অভিনব কায়দায় জুলুমের জগৎ এবং ধ্বংসের দিকে পা বাড়াচ্ছে।
অথচ সরকারের আবগারি বিভাগের ভুমিকা নিধিরাম সর্দারের মত।
অবৈধ চুলাই মদের ডেরার মালিকদের সঙ্গে মাসোয়ারা চুক্তিতে মানুষ মারার সুযোগ করে দিচ্ছে মন্ত্রী পরিমলের আবগারি বিভাগ।
মাঝে মধ্যে লোক দেখানোর অভিযান চালানো হয়।
মঙ্গলবার শিলচর মেহেরপুরের ধরম খালে চুলাই মদের বিরুদ্ধে এরকমই এক অভিযান চালিয়েছে মন্ত্রী পরিমলের আবগারি বিভাগ।
প্রচুর পরিমাণে চুলাই মদ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে চুলাই মদ বিক্রেতা তিন মহিলাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে এখানে দীর্ঘ বছর ধরে অবাধে চুলাই মদের ব্যবসা চলে আসার পর আচমকা আবগারি বিভাগের ঘুম ভাংল কি করে?
কেন এই অভিযান, লোক দেখানো না মাসোয়ারা আসছে না?
কাছাড় দুর্নীতি নিবারক এনজিও-র অভিযোগ পেয়ে গণআওয়াজ-এর একটি টীম সম্প্রতি লক্ষিপুর, উধারবন্দ এবং বড়খলার বিভিন্ন ডেরায় অনুসন্ধান অভিযান যায়।
এরমধ্যে রয়েছে লক্ষিপুর মহকুমার বনতারাপুর জিপির টিলাবাড়ী পুঞ্জি, উধারবন্দের ঠালিগ্রাম নাগাডুম বাগান এবং বড়খলার বিভিন্ন এলাকা।
বনতারাপুর জিপির টিলাবাড়ী পুঞ্জির প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে পচা ভাত, সব্জি এমনকি মানুষের উচ্ছিষ্ট সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয় চুলাই মদ।
এখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় সাপ্লাই দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রয়াত রাধামহন ও দারিপো-র বাড়ীতে গিয়ে যে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে তা খুবই চাঞ্চল্যকর।
যা পশুরও খাওয়ার যোগ্য নয় এসমস্ত সামগ্রী দিয়েই চুলাই মদ তৈরি করে খাওয়ানো হচ্ছে মানুষকে।
একই ভাবে ঠালিগ্রামের বর্মণ বস্তিতেও সর্বনাশ এই চুলাই মদ তৈরি করে সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়িদের হাতে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানাযায়, আবগারি এবং পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়েই তারা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।