ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ বড়খলা : এবার বুড়িবাইলে চললো উচ্ছেদ অভিযান, বোলডোজার চালিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হল পনেরোটি দালান বাড়ি।
অসহায় হয়ে পড়লো পনেরোটি পরিবার, নেই বাসস্থান,থাকা খাওয়ার জায়গা।
বিনা নোটিশ ছাড়া জমি বেদখল করছে প্রশাসন, অভিযোগ উচ্ছেদিত পরিবারের।
গৌহাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ৫৪ বছর পর জমি বেদখল মুক্ত করল কাছাড় জেলা প্রশাসন।
এই উচ্ছেদ অভিযান চলে দীর্ঘ ৫৪ বছর আইনি লড়াইয়ের পর।
বুধবার আদালতের নির্দেশে জমির প্রকৃত মালিককে জমি সমঝে দিল কাছাড় জেলা প্রশাসন।
কাছাড় জেলার বড়খলা সমষ্টির বুড়িবাইল ৩য় খন্ডের আব্দুল জব্বার বড়ভুইয়ার জমি দখল করেছিল পনেরোটি পরিবার।
গৃহ নির্মাণ করে জমি দখলে রাখে এই পরিবারগুলো।
আব্দুল জব্বার ১৯৬৮ সালে দখলদারদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পরও মামলা থামেনি। তার উত্তরাধীকারিরা চালিয়ে যান এই মামলা।
দীর্ঘ বছর মামলা চলার পর শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় পেল মৃত আব্দুল জব্বারের উত্তরাধীকারিরা।
বুধবার আদালতের নির্দেশে কাটিগড়া সার্কেল অফিসার রবার্ট, নাজির অরুনাভ গোস্বামী, বিশাল পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে গুড়িয়ে দেওয়া হল পনেরোটি পরিবারের ঘর-বাড়ী।
এলাকার প্রায় কয়েক হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে।
পনেরোটি পরিবারের অসহায় মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের হাতে পায়ে ধরে আশ্রয়ের দাবি জানান।
কিন্তু কার কথা কে শোনবে, খোলা আকাশের নীচ এখন তাদের টিকানা। কোথায় যাবেন? কে দেবে মাথা গুজার ঠাই?
তাদের দাবি প্রায় ১০০ বছর থেকে তাদের পুর্ব পুরুষরা এখানে বসবাস করে আসছেন।
কোন উচ্ছেদ নোটিশও তাদের দেওয়া হয়নি।
হটাৎ করে এসে একতরফা ভাবে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের বসতবাড়ি। অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।
উচ্ছেদ অভিযান শান্তি পুর্ণ ভাবে হয়েছে জানান সার্কেল অফিসার, থানার ওসি সহ অন্যান্যরা।
এদিন প্রশাসন জমি বেদখল করে দেওয়ার জন্য কাছাড় জেলা প্রশাসনকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাবেদ আহমেদ বড়ভুইয়া সহ জমির মালিকরা।