ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ হাইলাকান্দি : কবর থেকে উধাও হলো নবজাতক শিশুর লাশ! হা! এটাই সত্যি।
এই ঘটনাটি ঘটেছে হাইলাকান্দি জেলার পাঁচগ্রাম থানার কালীনগর দ্বিতীয় খন্ড গ্রামে।
শনিবার কবরটি কুড়ছে পুলিশ, এই কবর থেকে একটি শিশুর মৃতদেহ তুলা হবে!
এখানে ২০ সেপ্টেম্বর একটি নবজাতক শিশুকে দাফন করা হয়েছিল।
কিন্তু কেন? কবর থেকে শিশুটির মৃতদেহ তুলা হবে। কি করবে পুলিশ?
ডিএনএ টেস্ট করে তার বাবার পরিচয় বের করা হবে। এই টেষ্ট করতে হলে লাশের প্রয়োজন।
তাই শিশুটির মৃতদেহ কবর কুড়ে বের করতে সিআরপিএফ সহ পুলিশের বিশাল বাহিনী নিয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রবীণ মাহাতো।
যার লাশ কবর থেকে বের করতে এত পুলিশ বাহিনী মুতায়েন করা হয়েছে তার মা জাসমিনা বেগম গত ১০ জুন একই গ্রামের রফিক উদ্দিন ও তার বাবাকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন।
তিনি মামলায় রফিক উদ্দিনের উপর বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন।
জাসমিনা মামলায় আদালতকে জানিয়েছেন ১৫ নভেম্বর ২০১৬ সালে তিনি প্রথম স্বামীর ঘর থেকে তালাক প্রাপ্ত হন। তারপর বাবার বাসায় ছিলেন।
ওই সময় রফিক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জাসমিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং মোবাইলে ঘটনার অশ্লীল ফটোও তুলে।
এই ফটোগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে রফিক।
যার ফলে জাসমিনার গর্ভে একটি সন্তান আসে।
কিন্তু রফিককে বলার পর সে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে। এরপর জাসমিনা রফিককে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় রফিককে তিন মাস জেলও কাটতে হয়।
কিন্তু রফিক উদ্দিন জামিনে মুক্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দুই অক্টোবর জাসমিনা মারা যান।
কিন্তু যে কবর খুড়া হচ্ছে এখানে শিশুটিকে দাফন করা হয়েছে বলে দাবী করছেন জাসমিনার বাবা সৈদ আহমদ।
তাই এই শিশুর সত্যিই কী বাবা রফিক, নাকি অন্য কেউ? এটা প্রমান করতে ডিএনএ টেষ্ট করতে হবে।
এরজন্যই এই কবর কবর খুড়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে সেখানে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়নি!
এ নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগছে, লাশটি কোথায় গেল? আদৌ কী এখানে দাফন করা হয়েছিল?
জাসমিনার বাবার দাবি, তিনি নিজ হাতে এই জায়গায় শিশুটির মৃতদেহ দাফন করেছিলেন। তবে লাশটি গেল কোথায়? এটাই হচ্ছে সবথেকে বড় প্রশ্ন? পুলিশি তদন্তেই বেরিয়ে আসতে পারে আসল রহস্য।