শিলচর : দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি শিলচরেও ব্যাপক আড়ম্বরে পালিত হয় দশেরা উৎসব। ‘মন্দের উপর ভালোর জয়’-এর প্রতীক হিসাবে হিন্দিভাষী যুবমঞ্চ শিলচরে ‘রাবন দহন’ করে।
রাবণের পাশাপাশি কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের কুশপুত্তলিকাও পুড়িয়েছে হিন্দিভাষী যুবমঞ্চ।
রাম-রাবণ যুদ্ধও পরিবেশন করা হয়।
বিপুল সংখ্যক লোক এই মঞ্চটি দেখে এবং ভগবান রাম, সীতা মাইয়া, লক্ষণ লাল এবং পবনপুত্র হনুমানের নাম অনুরণ করেন।
লক্ষণীয় যে, প্রতি বছর দেশে ও সমাজে বিরাজমান অশুভকে রাবণের কুশপুত্তলিকার সাথে দাহ করা হয় এবং তা থেকে আসা আলো জীবনে মঙ্গল বয়ে আনে।
শিলচরের ঘুংঘুর এলাকার শহীদ মঙ্গল পান্ডে চৌমুখির কাছে রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের কুশপুত্তলিকা দাহ অনুষ্ঠান হয়।
অগ্রতা কুমার, রিয়া, বিশাল এবং সঞ্জীব নুনিয়া নিজেকে ভগবান রাম, মাতা সীতা, লক্ষন এবং হনুমানজি সেজে উপস্থাপন করেন।
সেইসময়, লোকেরা জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে আরম্ভ করেন এবং বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোক জড়ো হয়ে দর্শন করেন।
অগ্রতা কুমার রামের শিশু রূপ এবং রাজশ্রী পাল রামের কিশোর রূপ, বিশাল- লক্ষ্মণ, রিয়া নুনিয়া- সীতা এবং সঞ্জীব নুনিয়া হনুমানের চরিত্রে অভিনয় করেন।
রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শচী দুবে। রাজর্ষি পাল দেবী দুর্গার নাচে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন।
প্রবীণ সাংবাদিক ও সমাজসেবক দিলীপ কুমার উপস্থিত অতিথিদের ভগবানের পূজা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করার অনুরোধ জানান।
এরপর উপস্থিত অতিথি পন্ডিত আনন্দ শাস্ত্রী এবং কমলেশ সিং, ফুলমতি কালওয়ার, ডাঃ বৈকুণ্ঠ গোয়ালা সহ সিনিয়র কর্মীরা রাম পরিবারের কাছে প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক শিবশঙ্কর নুনিয়া, কোষাধ্যক্ষ রাজু নুনিয়া ও কল্যাণ হাজম প্রমুখ অতিথিদের স্বাগত জানানো পর্যন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
উত্তরীয় দিয়ে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়।
ডাঃ অমিত কালওয়ার, রামনারায়ণ নুনিয়া, সুভাষ চৌহান, বিজয় নুনিয়া, সুতপা চক্রবর্তী, সীমা কুমার, ডাঃ মঞ্জরী কালওয়ার, পৃথ্বীরাজ গোয়ালা, প্রদীপ কুর্মি, জয় প্রকাশ গুপ্ত, রামনাথ নুনিয়া, বিপ্লব পাটওয়া, অজয় নুনিয়া এবং সাংবাদিক যোগেশ দুবে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পণ্ডিত আনন্দ শাস্ত্রী বলেন, সমস্ত সমস্যার সমাধান একমাত্র ভগবান রামের আদর্শ অনুসরণ করে।
রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদ দহনের ব্যাখ্যায় বলা হয়, অস্পৃশ্যতা, জাতপাত, অনুপ্রবেশ, লোভ, লালসা, ক্রোধ, সন্ত্রাস, ব্যভিচার, পক্ষপাতিত্ব, অহংকার ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাবণের দশ কক্ষে।
সমস্ত মূর্তি ময়না লাল গৌর তৈরি করেন এবং অভিনন্দিতা কুমার ও অদিতি কুমার রাম রাবণ যুদ্ধের মঞ্চায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা করেন।