নিউজ ডেক্স : ১৮ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত শিলচর বিপিন পাল সভাস্থলে ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ৩১ তম বইমেলা।
বই পড়ায় প্ৰতি নবপ্রজন্মের অনীহা বাড়ছে, মোবাইল ফোনে সোস্যাল মিডিয়া সহ গেমস ইত্যাদির প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে নবপ্রজন্মের।
এর থেকে উত্তরণ জরুরি, এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
শিক্ষক-অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্ৰীদের বই পড়ার বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের বই পড়ার অভ্যাস।
ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বইয়ের বিকল্প নেই।
রবিবার শিলচরে সুভাষ নগরে ৩১তম শিলচর বইমেলা কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে একথাগুলো বলেন, বইমেলা কমিটির চেয়ারম্যান হারান দে, সভানেত্রী স্বর্ণালী চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব পাল চৌধুরী।
তাঁরা জানান, আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে ঐতিহ্যবাহী শিলচর বইমেলা বিপিন পাল সভাস্থলে শুরু হবে এবং ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
বই মেলায় কলকাতা, গুয়াহাটি, আগরতলা সহ স্থানীয় প্রকাশক গোষ্ঠী অংশ নেবে। প্রায় ৩০টি স্টলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তারা জানান, ঐতিহ্যবাহী ৩১ তম শিলচর বইমেলার প্রতি সন্ধ্যায় নতুন বই তথা পুস্তক প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক সংস্থা ও লেখকদের এব্যাপারে কমিটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
সেইসঙ্গে গ্রন্থপ্রেমীদের জন্য নতুন প্রকাশক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও বেশি করে দেশ- বিদেশের পুস্তকের সম্ভার বইমেলায় উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়া বই মেলায় প্রতিদিন থাকছে কবিতার আসর, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিশেষ করে তিন দিনব্যাপী সাহিত্য আলোচনার ওপর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। প্রোজেক্টারের মাধ্যমে সরাসরি মেলা প্রাঙ্গণ দেখানো হবে।
বইপ্ৰেমী সকল নাগরিকদের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে কমিটির কার্যকরী সভাপতি আব্দুল হাই লস্কর, সহ সম্পাদক গৌতম তালুকদার, প্রচার সচিব রানু দত্ত, রাজু চৌধুরী, পান্না লাল চক্রবর্তী, বারীন্দ্র কুমার দাস, রাহুল ভট্টাচার্য, মুন্না আচার্জি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।