মোস্তফা এ মজুমদার, হাইলাকান্দি : হাইলাকান্দির জনগণকে মুখ দেখাতে লাজ পাচ্ছি, ভোট খোঁজার মতো আমার মুখ নেই।
দলীয় বিধায়কদের কাজিয়ায় আসার সময় রাস্তায় মানুষ আমাকে গালি দিচ্ছে, জুতা দেখাচ্ছে।
আমালায় দলের কর্মী সম্মেলনে এভাবেই বললেন এআইইউডিএফ সুপ্রিমো সাংসদ মাওলানা বদর উদ্দিন আজমল।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চেয়ে হাইলাকান্দিতে তিনজন বিধায়ক নির্বাচিত করেছিলাম।
কিন্তু এর পরিণামে আজ গালি খেতে হচ্ছে।
দলের তিন বিধায়কের কার্যকলাপে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন দল সুপ্রিমো।
সুপারি নিয়ে দুই বিধায়কের কাজিয়াকে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
বিজেপি-কংগ্ৰেসকে মুসলমানদের শত্রু আখ্যা দিয়ে বলেন, এই দুটি দল ভাই ভাই।
আজমল বলেন, অসমের ইতিহাসে মুসলমানদেরকে প্রথম বাংলাদেশী তকমা লাগিয়েছিলেন হিতেশ্বর শইকিয়া।
ডি ভোটার বানিয়েছেন তরুণ গগৈ, ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়েছেন তরুণ গগৈ।
এক কথায় তরুণ গগৈর জন্ম হয়েছিল মুসলমানদের সঙ্গে দুষমনি করতে।
করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী কে এম বাহারুল ইসলাম বলেন, কংগ্রেস বিগত সত্তর বছর সংখ্যালঘুদের প্রতারণা করেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পিঠ দেওয়ালে লাগার পর সুরক্ষার জন্য এআইইউডিএফ দলের জন্ম হয়।
এআইইউডিএফ না থাকলে আসামে কংগ্রেসে কাছে মুসলমানের কোন দাম থাকতো না।
সোনাইর বিধায়ক বলেন, হাইলাকান্দির মানুষ গৌতম রায়কে পরাজিত করে এআইইউডিএফ দলের তিনজন বিধায়ক নির্বাচিত করেছেন।
করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে রাধেশ্ব্যাম বিশ্বাসকে সাংসদ নির্বাচিত করেছেন।
এবারের নির্বাচনে অসমের মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিঃশেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
কারণ হিমন্তের মতো সাম্প্রদায়িক মানুষ অসমে আর নেই।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা অসমের সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করার জন্য স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছেন।
আলগপুরের বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, করিমগঞ্জ লোকসভায় একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রার্থী করার দাবি জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন হাইলাকান্দির বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর, প্রাক্তন সাংসদ রাধেশ্ব্যাম বিশ্বাস, মানকাচারের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।