জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২২ ফেব্রুয়ারি : করিমগঞ্জ শহরে ই-রিকশার দৌরাত্ম্য এবং শহরের ভিতরে থাকা অবৈধ তিন এবং চার চাকার স্ট্যান্ড সরানোর জন্য নবাগত পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
এ উদ্দেশ্যে পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেবের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারের সঙ্গে বুধবার সাক্ষাৎ করে তার হাতে একটি স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সমন্বয়ক কৃষ্ণেন্দু পালও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার তাদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে পুরপতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
করিমগঞ্জ শহরে যানজটের সমস্যা অনেক। প্রায় সময় শহরের রাস্তায় যানজট থাকে। বিশেষ করে ই-রিকশার দৌরাত্ম্যে নাজেহাল হওয়ার উপক্রম হতে হয়।
দিন দিন শহরে ই- রিকশার সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে যে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে।
ব্যস্ততম সময়ে যানজটের ফলে নাজেহাল হতে হয় জনগণকে। দিনের বেলায় অনেক সময় শহরে প্রবেশ করতে দেখা যায় বড় ট্রাকগুলিকে।
নিয়ম অনুযায়ী, দিনের বেলা শহরের ভেতর ওই ট্রাকগুলি ঢোকার কথা নয়। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, রাস্তায় যানজট থাকার ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে অনেকে পৌঁছতে পারেননি।
এম্বুলেন্সও প্রায় সময় যানজটে আটকা পড়ে থাকে শহরের ভিতরে।
অন্যদিকে, সড়কের পাশে একাধিক বাজার থাকায়, এটাও যানজটের অন্যতম কারণ। পিডব্লিউডি কর্নারের বাজার (রাস্তার মধ্যেই বাজার) বেশ কয়েকবার উৎখাত করেছিল পুরসভা।
পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর রহস্যজনক কারণে ওই জায়গায় আবার বসে পড়ে বাজার।
বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ওই এলাকা সহ আরো কয়েক জায়গায় বাজার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। কয়েকটি দোকান শেড বানিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেবের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এ ব্যাপারে আলোচনা করতে বুধবার সাক্ষাৎ করেন নবাগত পুলিশ সুপারের সঙ্গে।
তারা পুলিশ সুপারকে বলেছেন, শহরের ভিতর তিন এবং চার চাকার (বিশেষ করে ই- রিকশা) স্ট্যান্ড দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে।
এর ফলে সড়কের ওই এলাকাগুলি অনেক ছোট হয়ে পড়েছে এবং ওখানে যানজট বেশি লেগে থাকে। স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয় জনগণ এর ফলে মারাত্মক অসুবিধায় পড়েন।
ট্রাফিক সমস্যাও বাড়ছে এতে। শীঘ্রই স্ট্যান্ডগুলি শহরের ভেতর থেকে না সরালে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফলে সাধারণ জনগণ, স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং সুষ্ঠুভাবে গাড়ি চলাচলের জন্য স্ট্যান্ডগুলি শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর ফলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।
পরে একটি স্মারকপত্র পুলিশ সুপারের হাতে তুলে দিয়েছেন পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব। প্রতিনিধি দলে ছিলেন উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস সহ অন্যান্য পুরকমিশনাররা।
পুরপতি বলেছেন, অবৈধভাবে শহরের ভেতরে অনেক স্ট্যান্ড রয়েছে।
এগুলি ছাড়া ই-রিকশাও দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। ১৮ বছরের কম অনেকে ই-রিকশা চালক। ফলে এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নবাগত পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ সুপার আশ্বাস নিয়েছেন আলোচনা ক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।